শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গের প্রাচীনতম এবং গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশনের কথা বলতে গেলে, অনেকেরই মনে আসতে পারে হাওড়া বা শিয়ালদহের কথা। তবে, এই অঞ্চলের প্রাচীনতম রেলওয়ে জংশন এই বিখ্যাত স্টেশনগুলির মধ্যে একটিও নয়। দক্ষিণবঙ্গের প্রাচীনতম রেলওয়ে জংশন আসলে পূর্ব বর্ধমানে অবস্থিত।
দক্ষিণবঙ্গের প্রাচীনতম রেলওয়ে জংশন পূর্ব রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, বিশেষ করে হাওড়া বিভাগের অংশ। এই স্টেশনটি প্রতিদিন এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ট্রেনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে কাজ করে, যা শত শত ট্রেন এবং হাজার হাজার যাত্রী পরিবহন করে। হাওড়া বা শিয়ালদহের চেয়ে কম বিখ্যাত হওয়া সত্ত্বেও, এই জংশন পূর্ব বর্ধমানের সাথে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অংশ এবং তার বাইরেও সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পূর্ব বর্ধমানের মানুষের কাছে, এই জংশন স্থানীয় গর্বের উৎস। এটি কেবল একটি রেলওয়ে স্টেশন নয় – এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান যা ভারতের রেল ব্যবস্থায় কয়েক দশক ধরে পরিবর্তনের সাক্ষী। এই জংশনের স্টেশন কোড হল KAN, এবং বর্তমানে এখানে পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক ট্রেন এবং যাত্রী যাতায়াত করে।
এই জংশনের অজানা ইতিহাস
১৮৫৯ সালে এই জংশনকে রেলওয়ে জংশনের মর্যাদা দেওয়া হয়, যা এটিকে এই অঞ্চলের প্রাচীনতম জংশনগুলির মধ্যে একটি করে তোলে। এই জংশনের ইতিহাস উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে গড়ে ওঠে। সেইসময় কার, টেগোর এবং কোম্পানি দামোদর নদীর নারায়ণকুড়ি ঘাট থেকে কলকাতায় কয়লা পরিবহন করত। নদীর প্রবাহের অসঙ্গতির কারণে, এই পরিবহন পদ্ধতিটি অবিশ্বস্ত হয়ে পড়ে।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য, ১৮৫৫ সালে, পূর্ব ভারতীয় রেলওয়ে কলকাতা এবং হুগলি থেকে পাটা রেলপথটি রানীগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করে যাতে কলকাতার শিল্প চাহিদার জন্য কয়লার অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। কয়েক বছর পরে ১৮৫৯ সালে এর জংশনের মর্যাদার ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
কী নাম এই ঐতিহাসিক জংশনের?
খানা জংশন, হাওড়া বা শিয়ালদহের মতো অন্যান্য বড় রেলওয়ে স্টেশনের মতো বিখ্যাত না হলেও, তবে এর গুরুত্ব এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস এটিকে দক্ষিণবঙ্গের রেল নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলেছে।