Travel

Papiya Paul

Travel: গুমোট গরম থেকে একটু শান্তির খোঁজ, ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন এই ‘পাহাড়ি রানী’র লোকেশন থেকে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাংলার আবহাওয়ার যা অবস্থা, এই সময় এত গরমে নাজেহাল অবস্থা হয়ে পড়ছে সকলের। অনেকেই এই গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য পাহাড়ে ঘুরতে(Travel) বেরিয়ে পড়ছেন। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঠান্ডার অনুভূত পাওয়ার জন্য দার্জিলিংয়ে পৌঁছে গিয়েছেন। এই সময়ে দার্জিলিং-এ ভিড়ও অনেক রয়েছে। তাই এই ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে বহু মানুষ একটু নিরিবিলিতে অন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

   

তাদের জন্যই রয়েছে আজকের এই প্রতিবেদন। আপনারা চলে যেতে পারেন উটিতে(Ooty)। এখানে পাহাড়ি ঠান্ডা মন জয় করে নেবে আপনার। এর সাথেই এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে মন ভরে যাবে আপনার। আপনি যদি এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে থাকেন তাহলে অনায়াসেই উটিতে ঘুরে আসতে পারবেন। নীলগিরি পাহাড়ের কোলে যেহেতু এই উটি অবস্থিত তাই এখানে সব সময় ঠান্ডা থাকে।

তবে অক্টোবর থেকে জুন মাস এখানে ভ্রমণের জন্য সেরা সময়। যদিও মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রচুর পর্যটক এখানে ঘুরতে যান। এখানে একাধিক হোমস্টে রয়েছে। যেখানে আপনি সবরকমের হোটেল পেয়ে যাবেন। এখানেও হোটেল বুকিং-এর খরচ দেড় হাজার টাকা থেকে শুরু।

আরও পড়ুন: Scholarship: এই বিশেষ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ! কিভাবে করবেন আবেদন?

কি কি ঘুরবেন? এখানে ঘুরতে গেলে অবশ্যই রোজ গার্ডেন দেখতে হবে। এই গার্ডেনে প্রায় চার হেক্টর জায়গা জুড়ে কুড়ি হাজারেরও বেশি প্রজাতির গোলাপ রয়েছে। এখানে গোলাপের সঙ্গে যত খুশি ছবি তুলতে পারবেন। এই গোলাপ বাগানে টিকিটের মূল্য রয়েছে মাথাপিছু ৪০ টাকা।

এছাড়া এখানে গেলে অবশ্যই উটি লেক যেতে হবে। এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ। আগে মাছ ধরার জন্য এই হ্রদ তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু এখন আর ধরা হয় না। এখানে নিজের ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে নৌকা বিহার করতে চাইলে করতে পারবেন।.
এছাড়া এখানে রয়েছে উটি বোটানিক্যাল গার্ডেন যেখানে বিভিন্ন রকমের গাছ রয়েছে। এটি ছাড়াও যেতে পারেন পাইকারা ফলস পাইন আর চা বাগানে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই দৃশ্য নিজের চোখে দেখতে না পারলে উটি ঘোরা আপনার মিস হয়ে যাবে।

কিভাবে যাবেন?
আপনি যদি রেল পথে যান তাহলে হাওড়া থেকে তামিলনাড়ু ট্রেন ধরতে হবে। সেখানে উটির নিজস্ব রেল স্টেশন রয়েছে। ওই রেল স্টেশনে নেমেও আপনি চলে যেতে পারেন। এখানে আপনি কোয়েম্বাটুর হয়েও উঠে যেতে পারেন। আবার বিমানে যেতে চাইলে কোয়েম্বাটুর বিমানবন্দরে আপনাকে নামতে হবে। এখান থেকে উটি যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে।