ভারতীয় সিনেমা জগতের এক খ্যাতনামা নাম হল ‘আশীষ বিদ্যার্থী’। হিন্দি, তেলেগু, বাংলা মিলিয়ে প্রায় ১১ টি ভাষায় কাজ করেছেন তিনি। আর এই প্রত্যেকটি ছবিতেই দেখেছি তার সুনিপুণ দক্ষ অভিনয়। সম্প্রতি এহেন অভিনেতাকেই বেশ খোশ মেজাজে পাওয়া গেল বলিউড হাঙ্গামায়।
এইদিন একটা খোলামেলা সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন আশিষ। কথায় কথায় জানালেন নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা। পাশাপাশি গত বছরের ব্যর্থতা নিয়েও কথা বললেন তিনি। অভিনেতার কথায়, কর্মজীবনের প্রথম দিকে কেবল কাজের সন্ধান করতেন তিনি, আর সেই তিনিই আজ এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছেন যেখানে নিজের ভূমিকা বেছে নিতে পারেন।
আশিষের কথায়, “গত কয়েক বছর থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি যে ধরনের কাজ করতে পছন্দ করি তাই করব। আমি এখন কিছু কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছুক, যে ধরনের ভূমিকা আমি আগে করিনি।” জানিয়ে রাখি, অভিনেতা কাজ করেছেন প্রশান্ত নায়ারের ‘ট্রায়াল বাই ফায়ার’এ। ১৯৯৭ সালের দিল্লি অগ্নিকান্ডের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
এমতাবস্থায় নিজেকে নিয়ে বেশ মজার কথা বললেন আশিষ। কাস্টিং ডিরেক্টরদের জন্য আশিষের বার্তা, ‘আমি এখনও বেঁচে আছি। আমার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করো না। পরে বলবেন না যে এই অভিনেতাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি।’ পাশাপাশি গত বছরের ব্যর্থতা নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
আশিষের কথায়, তিনি এমন কেউ নন যে কোনো ছবির পোস্টমর্টেম করার ক্ষমতা রাখেন। অভিনেতার কথায়, ‘গত বছর, খুব বেশি ছবি ভালো হয়নি। কিন্তু কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ ছবি বানায় না। কিছু জিনিস কাজ করে না। এমন লোক আছে যারা ফিল্ম বিশেষজ্ঞ। আমি তাদের একজন নই। আমরা খেলোয়াড়। ৩২ বছরের কেরিয়ারে ১১ টি ভাষায় ২৪০ টি ছবি করেছি।’
ওটিটি প্লাটফর্ম সম্পর্কে আশিষ বলেন, ‘ওটিটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এমন অনেক পরিচালক, লেখক, ক্যামেরাম্যান, প্রযোজক ও অভিনেতা আছেন যারা মানসম্পন্ন কাজ পাচ্ছিলেন না। তারা এখন তাদের বিস্ময়কর কাজ দেখাতে সক্ষম। আমি এই পরিবর্তন ভালোবাসি।’ বিদ্যার্থী বিশ্বাস করেন যে OTT-এর উত্থানের কারণে দর্শকরাও দারুণভাবে উপকৃত হয়েছে।