শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: নতুন বাবা ভাঙ্গা, জাপানের একজন রহস্যময় মাঙ্গা শিল্পী। নবী হিসাবেও পরিচিত তিনি। তাঁর আসল নাম রিও তাতসুকি কিন্তু এখন মানুষ তাঁকে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী করার অলৌকিক ক্ষমতার জন্য ‘নতুন বাবা ভাঙ্গা’ নামে চেনে। বাবা ভাঙ্গা বহু বছর আগে নিজেরে ‘দ্য ফিউচার আই স’ বইতে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যা বহুবার সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বাবা ভাঙ্গা তাঁর বইতে ভবিষ্যতের কিছু ঘটনার কথা (Baba Vanga Predictions) উল্লেখ করেছেন, যার অনেকগুলিই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। যেমন, ২০১১ সালে জাপানে সুনামির ঘটনা, তারপর বিশ্বব্যাপী মহামারীর পূর্বাভাস এবং এশিয়ায় ভূমিকম্পের ঘটনা। তাহলে এবার ২০২৫ সালের জুলাই মাসে কোন ভবিষ্যৎবাণী সত্য হতে চলল?
২০২৫ সালের জুলাই মাসে ধ্বংসযজ্ঞ হবে!
এখন বাবা ভাঙ্গার একটি ভবিষ্যদ্বাণী ভাইরাল হচ্ছে, যা সমগ্র বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে, জাপানের দক্ষিণ সাগরে সমুদ্র ফুটতে শুরু করবে এবং তারপরে একটি জলের নিচের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হবে। ভাবলেই শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠছে তো! তাহলে এই ভবিষ্যৎবাণী সত্য হলে কী হতে পারে, ভাবুন একবার! দ্য ফিউচার আই স’-এর মতে, জুলাই মাসে জাপানের দক্ষিণ সাগরে একটি ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানবে, যা কেবল জাপানেই নয়, অনেক দেশেই ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে।
কোন কোন দেশে ধ্বংসযজ্ঞ হবে?
২০২৫ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত “দ্য ফিউচার আই স” বইতে উল্লেখিত সুনামি জাপানের দক্ষিণ দ্বীপপুঞ্জ, তাইওয়ানের উপকূলীয় অঞ্চল এবং ইন্দোনেশিয়ার কিছু অংশকে প্রভাবিত করবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন তিনি। এই বইয়ে দাবি করা হয়েছে যে এই সুনামি ২০১১ সালের ফুকুশিমা সুনামির চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে চলেছে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি না নেওয়া হলে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসের এই সুনামির সতর্কতা জাপানের পর্যটনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বেড়াতে যেতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। ট্রাভেল এজেন্সির বুকিং ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ইস্টারের ছুটির সময়ও বুকিং সেভাবে হয়নি।
আরও পড়ুন: ভয়ানক বিপদ! ঘরে ঘরে ঢুকে গেল নীরব ঘাতক, সত্যি হল বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী
দাবিত্যাগ: এখানে প্রদত্ত সমস্ত তথ্য সামাজিক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। newzshort.com এটি নিশ্চিত করে না। যদিও ভবিষ্যদ্বাণীগুলি বৈজ্ঞানিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে করা হয়নি। তবুও ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলি জাপান এবং তাইওয়ানের আশেপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্পের গতিবিধি ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছে।