পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ সম্প্রতি ভারত সরকারের তরফ থেকে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের (Bangladesh) সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে বড়সড় ঘোষণা এসেছে। যার জেরে একপ্রকার চিন্তায় পরে গিয়েছে পড়শী দেশটি। কি ঘোষণা? সেটা হল স্থলপথের যে সমস্ত বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আদানপ্রদান হত তা বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।
বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আসা তৈরি পোশাকসহ অনেক পণ্যের আমদানিতে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন থেকে এসব পণ্য শুধুমাত্র কলকাতা ও নাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য এটি এক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, ভারতীয় বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের বেশিরভাগই আগে স্থলপথে আসত, যেটা একদিকে যেমন সস্তা ছিল তেমনি সহজও ছিল। তবে এবার সেই পদ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। আবার অন্য দিক থেকে দেখতে গেলে এর ফলে ভারতীয় বস্ত্রশিল্পের লাভ বাড়বে।
কি কি পণ্য আমদানি হত ভারতে?
অনেকেই হয়তো ভাবছেন কি কি পণ্য বাংলাদেশে থেকে ভারতে আসত? এর উত্তর হল রেডিমেড পোশাক থেকে শুরু করে ফল, কারনেটেড সফ্ট ড্রিংক, তুলো, সুতো, প্লাস্টিকের পণ্য ও কাঠের আসবাবপত্র। অবশ্য কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে স্থল বর্ডার খোলা থাকবে। সেগুলি হল মাছ, এলপিজি, রান্নার তেল ও চুনাপাথর।
গ্লোবাল রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের শেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৬,৫০০ কোটি টাকার এক্সপোর্ট করত বাংলাদেশ। তবে সরকারের নয়া সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানির পরিমাণ কমবে ফলে আর্থিক দিক থেকে এটা বড় সর ধাক্কা হতে চলেছে বাংলাদেশের।
ভারতের বস্ত্রশিল্পে প্রভাব
বাংলাদেশ থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার হলেও দেশের বাজারে জামা কাপড়ের চাহিদা কমবে না। তাই এক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য দারুন সুযোগ থাকবে ব্যবসা বৃদ্ধি করার। আন্দাজ করা হচ্ছে এর ফলে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুনঃ কেউ বলে ‘ছিঃ’, তো কারোর মতে ‘অকৃতজ্ঞ’! আহত পবন্দীপকে দেখতে না যাওয়ায় কটাক্ষের মুখে অরুণিতা
প্রসঙ্গত, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি হটাৎ করেই হয়নি। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ইউনূস সরকার আসার পর থেকেই সূত্রপাত টানাপোড়েনের। পরবর্তীতে বাংলাদেশে থাকা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। এই সমস্ত কিছুর পরেই বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।