পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় সোমবার বিকেলে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে যাত্রী ওঠানো নিয়ে চালক ও এক যাত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরবর্তীতে সেই ঝগড়া আরও বাড়তে থাকে ও শহরের ২ নম্বর পুল এলাকায় পৌঁছালে তাদের পরিচিত লোকজনও যুক্ত হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বড়বহুলা ও শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দু’পক্ষ শহরের প্রধান সড়ক কার্যত অবরোধ করে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে দেড় ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চালায়।
সংঘর্ষের জেরে আহত ওসি সহ ৫ পুলিশ
এই সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি সহ পুলিশের পাঁচ সদস্য এবং দুই পক্ষের আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ওসির কথা মত, “ইজিবাইকে যাত্রী ওঠানো নিয়ে চালকের সঙ্গে এক ব্যক্তির কথা-কাটাকাটি থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে আমি ও পুলিশের চার সদস্যও আহত হয়েছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছে”।
আরও পড়ুনঃ ছাড় পাবে না কেউ! বিনা টিকিটে ভ্রমণ বন্ধ করতে বিশেষ মেশিন বসল স্টেশনে
প্রশাসনের ভূমিকা ও স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন সংঘর্ষের জেরে শহরের পরিবেশ অস্থির হয়ে পড়েছিল বেশ কিছু সময়ের জন্য। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের চলাচল ব্যাহত হয়। তবে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।