Papiya Paul

কত টাকা রেখে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী, কে হবে সেই সম্পত্তির মালিক!

এক মাসের মধ্যে সংগীত জগতে একের পর এক বিরাট ধাক্কা। প্রথমে লতা মঙ্গেশকার, তারপরে গতকাল চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আর আজকে চলে গেলেন বাংলার জলপাইগুড়ির ছেলে ও বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। মাত্র ১৯ বছরেই ১৯৭৩ সালে তিনি প্রথম বলিউডে সুর দেন। দীর্ঘদিন সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে কয়েক হাজার গান রেকর্ড করেছিলেন।

   

২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি- ৩’ ছবিতে। তিনি এমন একজন গায়ক ছিলেন আজকের প্রজন্মের জন্য গান গাইতে খুব পছন্দ করতেন। বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া গায়কদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। এই বিখ্যাত সুরকার মৃত্যুর পরে প্রচুর সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। ক্যাকনলেজের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাপ্পি লাহিড়ীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২২ কোটি টাকা। তাঁর মাসিক বেতন ছিল ২০ লক্ষেরও বেশি, আর বছরে বেতন ছিল ২ কোটির বেশি।

তিনি একটি গানের জন্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া রিয়েলিটি টিভি শো-এর বিচারক হিসেবে, লাইভ পারফরম্যান্স, সঙ্গীত প্রযোজনা এবং অভিনয় করেও তিনি প্রচুর টাকা উপার্জন করতেন। এই ক্যাকনলেজের প্রতিবেদন অনুযায়ী এটাও জানা গিয়েছে তিনি একটি বিলাসবহুল বাড়িতে থাকতেন। মুম্বাইর এই বাড়ি ২০০১ সালে কিনেছিলেন। বর্তমানে এই বাড়ির দাম প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার মতো। এছাড়াও আরো অনেক শহরে তার প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে যেগুলোর সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

এছাড়া তাঁর BMW, Audi এর মতো বেশ কয়েকটি দামী গাড়ি আছে। এর সাথে একটি Tesla X- গাড়িও ছিল যার মূল্য প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা। তবে বাড়ি, গাড়ি ছাড়াও তার সবথেকে পছন্দের জিনিস ছিল সোনার গয়না। তিনি বলতেন, ‘গোল্ড ইজ মাই গড’। আর তাই তাঁকে ভারতের ‘গোল্ডম্যান’ হিসেবেও ডাকা হতো। তিনি নিজেকে অন্যভাব সকলের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিল। কারোর গান পছন্দ হলে তিনি তার সোনার গয়না তাকে উপহার দিতেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী জানা গিয়েছিল সেই সময় বাপ্পি লাহিড়ীর কাছে প্রায় ৭৫৪ গ্রাম সোনা ছিল। এছাড়াও কয়েক কেজি রুপোর মালিক তিনি। প্রথম থেকে বাপি লাহিড়ী শুধু সোনার গয়না পড়লেও পরে এর সাথেই ‘Luminex Uno’ নামের একটি ধাতু ব্যবহার করতেন। যা খুব মূল্যবান একটি জিনিস। যেটি তৈরী করা হত সোনা, প্ল্যাটিনাম আর রুপো দিয়ে।