শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং বারবার দাবি করার পর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওনা টাকার একটি অংশ পেয়েছে। ৭৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। এই অর্থ প্রদান রাজ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য স্বস্তি ঠিকই, তবে এখনও কিছু বকেয়া অর্থ নিষ্পত্তি হয়নি।
খাদ্য বিভাগের জন্য রাজ্যকে তহবিল সরবরাহ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে অর্থ চেয়েছিল। অর্থ প্রদানের একটি প্রধান কারণ ছিল সেন্ট্রাল পুলের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা, যেখানে রাজ্যকে চাল সংগ্রহ করতে হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই টাকা আসেনি। এই বিলম্ব রাজ্যের উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে। অবশেষে কিছুটা হলেও সেই চাপ মুক্তি হল।
পশ্চিমবঙ্গের জন্য এই টাকা কতটা কাজে আসবে?
কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ৭৪০০ কোটি টাকা রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ খাতের উপর আর্থিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এটি রাজ্যকে ক্রয় প্রকল্পের অধীনে সংগৃহীত ধানের জন্য কৃষকদের কাছে তার কিছু পাওনা পরিশোধ করতে সাহায্য করবে। এই অর্থ কার্যক্রম মসৃণ করতে সাহায্য করবে এবং রাজ্য সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সহজ করবে। তবে, বাকি ৪৬০০ কোটি টাকা কখন পরিশোধ করা হবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। তা সত্ত্বেও, রাজ্য আশাবাদী যে তারা শীঘ্রই বাকি তহবিল পাবে।
কোন কোন কাজে কেন্দ্রের টাকা এখনও প্রয়োজন?
১০০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা: এই কর্মসূচিতে গ্রামীণ শ্রমিকদের জন্য অর্থ সরবরাহের জন্য রাজ্যকে নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করতে হয়েছিল, কারণ কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাশিত টাকা দেয়নি।
আবাসন প্রকল্প: আবাসন প্রকল্পের (আবাসন প্রকল্প) জন্য কেন্দ্রীয় অবদান এখনও পাওয়া যায়নি, তাই রাজ্য ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্পে অর্থায়ন শুরু করে।
রাস্তাঘাট এবং পরিকাঠামো: কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় তহবিল প্রকাশ না করায় রাজ্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও গ্রহণ করে।
এর প্রভাব জনগণের উপর কীভাবে পড়বে?
৭৪০০ কোটি টাকা দেওয়ার ফলে কৃষক এবং রেশন কার্ডধারীরা সরাসরি উপকৃত হবেন, কারণ এটি বকেয়া পরিশোধ এবং খাদ্য সরবরাহের সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। তবে, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক বাকি অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত পরিস্থিতি যদিও অনিশ্চিত। জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার দ্রুত সমস্ত বকেয়া পরিশোধের জন্য চাপ তাই অব্যাহত রেখেছে।