শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: যুদ্ধের দামামা বাজছে। ভারত-পাকিস্তানের এই যুদ্ধ আবহের কোপ এসে পড়ছে বাংলাও। আগামী দিনে যুদ্ধ তীব্রতর হলে কী হবে সাধারণ মানুষের! কেন্দ্রীয় সরকার আগেই সকল রাজ্যকে সতর্ক থাকার এবং যেকোনো জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য সতর্ক করেছে। উদ্বিগ্ন হয়ে বড় পদক্ষেপ করল নবান্ন।
কোন পদক্ষেপ করল নবান্ন?
প্রধান পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি হল খাদ্য সরবরাহ মজুদ করা। কেন্দ্রের নির্দেশে রাজ্য সরকার আগামী তিন মাস – জুন, জুলাই এবং আগস্ট – এর জন্য প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত রেশন সামগ্রী মজুদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই রেশনগুলি পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস) এর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ এবং সুন্দরবনের মতো সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে। এই এলাকাগুলি সীমান্ত বা বনের কাছাকাছি অবস্থিত, যা এগুলিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। পুলিশকে সতর্ক থাকতে এবং অস্বাভাবিক যে কোনও কিছুর সাথে সাথেই রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
সরকার জরুরি অবস্থার সময় সাহায্য করার জন্য সিভিল ডিফেন্সের ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। প্রয়োজনে দ্রুত কাজ করার জন্য এই ভলান্টিয়াররা যাতে প্রস্তুত থাকেন তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি জেলায় নতুন করে রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার গভীর রাতে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন রাত ১০:৩০ টায় সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি রাজ্যগুলিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। আবার রবিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব মনোজ পন্ত একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। পুলিশ, খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা সহ বিভিন্ন বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক বাণিজ্যের ইতি, কোন কোন জিনিস কিনতে গেলে হেঁশেলে লাগবে আগুন? দেখুন তালিকা
যদিও এই সমস্ত পদক্ষেপ গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে, সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা চায় জনসাধারণের জীবন স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকুক। এই প্রস্তুতির মূল লক্ষ্য হল জনগণকে রক্ষা করা এবং তাদের খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা। কর্মকর্তারা আতঙ্ক এড়াতে এবং রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।