পার্থ মান্নাঃ দুস্থ ও গরিবদের জন্য প্রতিমাসে ফ্রীতে রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেশনের এই চালের যোগান দেয়ার জন্য চাষিদের থেকে ধান সংগ্রহ করে রাজ্য সরকার। এরপর সেটা বিভিন্ন চালকল বা রাইস মিলের সাথে চুক্তি করে ভাঙ্গানো হয়। ধান থেকে চাল হয়ে গেলে সেটা রেশন দোকানে পাঠিয়ে বিলি করা হয়। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে সময় পেরিয়ে গেলেও এবছর কোনো রাইস মিলের সাথেই চুক্তি করেনি রাজ্য সরকার। এরই মাঝে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে সরব হলেই রাইস মিলের মালিকেরা।
ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টির টাকা নিয়ে অভিযোগ!
চুক্তির ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টি নিয়ে অভিযোগে জানায় হচ্ছে রাইস মিল মালিকদের পক্ষ থেকে। এই প্রসঙ্গে বেঙ্গল রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, এতদিন যে সকল দাবি তুলে ধরা হয়েছে তার সবটাই ন্যায্য।
গতবছর ২৫ টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টির বদলে খাদ্য দফতর ১ কোটি টাকার ধান দিয়েছিল। কিন্তু এবছর সেই টাকার অঙ্কটাই বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ করে দেওয়া হয় আবার পরে ৩৫ লক্ষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখানেও রৌয়েছে শর্ত। যে সমস্ত রাইস মিল ১৭ই সেপ্টেম্বর তারিখের আগে চুক্তি করবে তারাই শুধুমাত্র ৩৫ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টি দেবে নাহলে পরে ৪০ লক্ষ টাকাই লাগবে।
মিলিং চার্জ সংশোধনের প্রয়োজন
এখানেই শেষ নয়, ধান থেকে চাল তৈরির জন্য যে চার্জ দেওয়া হয় সেটাও সংশোধনের প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে ১ কুইন্টাল চাল তৈরিতে প্রায় ১১০ টাকা খরচ হয়। অথচ রাজ্য সরকার ২০১৬ থেকে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে আসছে। বাকি রাজ্যে এই টাকা বাড়ানো হলেও বাংলায় সেটা হয়নি। তাই নূন্যতম ৬০ টাকা না দিলে চুক্তি করা হবে না বলেই জানা যাচ্ছে। বিগত শুক্রবারে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এই দাবি তোলা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
এদিন বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ শোনার পর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘মিলং চার্জ বাড়ানোর বিষয়টা অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টির অঙ্কটিও ৩৫ মুখের বদলে ৩০ লক্ষ করা হয়েছে। এছাড়া আর কোনো সমস্যা থাকলে সেটা আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে’।