কথাতেই আছে পুলিশে ছুলে আঠারো ঘা। আর সেই কারণেই পুলিশের নাম শুনলেই মানুষ ভয় পায়। কিন্তু তাই বলে কি সব পুলিশই কঠোর হয়! নাকি পুলিশ সবসময় মানুষকে ভয় দেখায়? দেশে এমনও পুলিশ আছে যারা উদার এবং সদালাপী হয়। শুধু তাই নয়, এই পুলিশরা সবসময় চায় সমাজের সমস্ত অসামাজিক কাজকর্ম দূর হয়ে যাক।
তবে পুলিশ চাইলে কী হবে? অনেকসময়ই দেখা গেছে যে, পুলিশ সচেতন হলেও সাধারণ মানুষের অসচেতনতার কারণে সমাজে সমস্যা তৈরি হয়। এমতাবস্থায় আজকের প্রতিবেদনে এমন এক পুলিশ কনস্টেবলের কথা বলব যিনি দরিদ্র ও অভাবী শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
এই মহান মানুষটির নাম বিকাশ কুমার। তিনি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের কুরালকি খুর্দ গ্রামের বাসিন্দা। এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় সমাজের দরিদ্র মানুষদের কষ্ট তিনি ভালোই বোঝেন। আর তাই বিগত ৮ বছর ধরে দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা দিয়ে আসছেন যাতে তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হয়।
বিকাশের বয়স যখন ১৮ তখন তার কাছে গ্রামের গরিব ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে আসত। নিজে উচ্চশিক্ষার সুযোগ না পেলেও সেইসব বাচ্চাদের তিনি নিজের সমস্ত ভালোবাসা ঢেলে পড়াতেন। এরপর ২০১৬ সালে বিকাশ পুলিশে ভর্তি হন। এরপর শিশুরা মনে করে যে, বিকাশ হয়ত আর তাদের পড়াবেনা।
কিন্তু বিকাশ তার দায়িত্ব পালন করতে বদ্ধ পরিকর। তাই নিজের ডিউটি শেষ করার পর বাচ্চাদের ক্লাশ করায় সে। এরপর কিছু বন্ধু আর সাহায্যে একটি ছোটখাটো স্কুল তৈরি করে ফেলেন। আর তারপর থেকেই চলছে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান। কারণ বিকাশ মনে করেন প্রতিটি শিশুর শিক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিকাশ কুমার নাঙ্গল থানায় PRB 112-এ পোস্টেড আছেন। তার এই মহৎ কাজের জন্য মোরাদাবাদ ডিআইজি শলভ মাথুর সম্মানিতও করেছেন তাকে। শুধু তাই নয়, এখন তো বিকাশের সহকর্মী পুলিশ কর্মীরাও গরিব শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে পিলিভীত, সাহারানপুর, বুলন্দশহর এবং মিরাটের মতো শহরে বিনামূল্যে স্কুল চালাচ্ছেন তারা।