শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: রেলওয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বছরের পর বছর অপেক্ষার পর, বাংলার মানুষ অবশেষে এক জনপ্রিয় রুটের রেল লাইন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই রেলপথটি এখন প্রথম সফল ট্রেন চলাচলের মুখ দেখেছে। যদিও এই ট্রেনটি যাত্রীবাহী ট্রেন ছিল না, তবে এটি এই লাইনের উন্নয়নে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন, যা সম্পূর্ণরূপে চালু হলে অনেকেই উপকৃত হবেন।
জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর লাইনেই গড়িয়েছে ট্রেনের চাকা। তবে, চ্যালেঞ্জ এখনও বিদ্যমান। একটি প্রধান সমস্যা হল ভবদীঘি এলাকা, যা বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দারা রেললাইন নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি প্রায় ১৫০টি পরিবারের জীবিকার জন্য অপরিহার্য একটি জলাশয়ের উপর দিয়ে যায়। এই প্রতিবাদ সত্ত্বেও, প্রকল্পটি এগিয়েছে, প্রথম মালবাহী ট্রেনটি সফলভাবে চলেছে।
বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথে এখনও কিছু কাজ বাকি থাকলেও, মালবাহী ট্রেনের সফল চলাচল ভবিষ্যতের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক লক্ষণ। যদিও এই প্রথম ট্রেনটি একটি মালবাহী ট্রেন ছিল, এটি স্থানীয়দের মধ্যে এখনও আশা জাগিয়েছে। প্রায় ১৫ বছর অপেক্ষার পর, অনেকেই আশাবাদী যে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিও শীঘ্রই এই নতুন লাইনে চলতে সক্ষম হবে। একবার চালু হয়ে গেলে, রেলপথটি তারকেশ্বরকে বিষ্ণুপুরের সাথে সংযুক্ত হবে, যা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া আরও সহজ করে তুলবে। মালবাহী ট্রেনের সফল চলাচল ইঙ্গিত দেয় যে যাত্রী পরিষেবার জন্য অবকাঠামো প্রায় প্রস্তুত।
নতুন রেলপথে প্রথম ট্রেন
সাম্প্রতিক একটি ভিডিও, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথে প্রথম মালবাহী ট্রেনটি চলছে। পাথর বহনকারী এই ট্রেনটি লাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ জয়রামবাটি স্টেশনে পৌঁছেছে। এরপর ট্রেনটি বড় গোপীনাথপুরের মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুরের দিকে যাত্রা শুরু করে। যদিও লাইনটি এখনও সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হয়নি, এই মুহূর্তটি প্রকল্পের অগ্রগতিতে একটি বড় মাইলফলক।