নিউজশর্ট ডেস্কঃ তার অসাধারণ রূপের ভক্ত ছিলেন সকল সিনেপ্রেমী মানুষেরা। তার চোখের চাউনিতে ঘুম উড়ে যেত পুরুষ ভক্তদের। এই অভিনেত্রীর পুরুষ ভক্তদের সংখ্যা সত্যিই মনে রাখার মত। এখানে কথা হচ্ছে বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিজয়লক্ষ্মীকে নিয়ে। রুপোলি জগতের মানুষেরা তাকে ‘সিল্ক স্মিতা(Silk Smita)’ বলে ডাকতেন। একসময় দক্ষিণী ফিল্ম জগতের দাপুটে অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।
যদিও তার এই অভিনেত্রী হওয়ার লড়াইটা এত সহজ ছিল না। তার জীবনকাহিনী নিয়ে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবি বলিউডে(Bollywood) তৈরি হয়েছে। এই প্রতিবেদনে অভিনেত্রীর জীবনে নানা কাহিনী আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তৎকালীন সময়ে দক্ষিণের সিনেমা জগতে সবথেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন সিল্ক স্মিতা। তার কাছে টেক্কা দিতে পারতেন না কেউ। তাই তাকে ‘দক্ষিণের সাইরেন’ নামেও ডাকা হতো।
তবে এই সিনেমা জগতের সাফল্য লাভ করার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। সহজে তার নামডাক হয়নি। অনেক পরিশ্রম করার পর তিনি সফলতা লাভ করেন। বিদ্যা বালানের দ্য ডার্টি পিকচার ছবিতে তার জীবনের কাহিনী তুলে ধরা হলেও এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যেগুলো সাধারণ মানুষ জানেন না। আজকের এই প্রতিবেদনে অভিনেত্রীর জীবনের এমন এক কাহিনী তুলে ধরব যা শুনে অবাক হবেন আপনারা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী একবার একটি সিনেমার শুটিং করার সময় বিরতিতে অভিনেত্রী একটি আপেল তুলে কামড় দিয়েছিলেন। এরপর তাকে শর্ট এর জন্য ডাকা হলে তিনি সেই আপেলটি একপাশে রেখে শুটিং ফ্লোরে চলে যান। তখন শুটিংয়ে উপস্থিত একজন ব্যক্তি তার ওই আধ খাওয়া আপেলটি লক্ষ্য করে এবং সেটি নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই ব্যক্তি ওই আপেল নিলাম করে বিক্রি করে। তিনি ওই আপেলটি কত টাকায় বিক্রি করেছিলেন জানেন?
এই আপেলটি নিলামের অর্থ নিয়ে একেকজন এক একটা মন্তব্য করেছেন। কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল ওই আধ খাওয়া আপেল ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল, আবার কেউ বলেছেন এক লাখ টাকাতে বিক্রি হয়। সঠিক দাম কত ছিল তা অবশ্য জানা যায়নি। অভিনেত্রী হিসাবে তিনি জনপ্রিয় ত পাওয়ার পাশাপাশি তার শরীরী আবেদনে বুঁদ হয়ে থাকতেন দর্শকেরা। তাই তাকে কুইন অফ সেনসুয়ালিটি বা কামের রানী বলা হতো।
তিনি হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ছবিতে কাজ করেছেন। রজনীকান্ত, কামাল হাসানের মত অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাকে। ‘বন্দীচকরাম’ ছবি দিয়ে তিনি অভিনয় জগতে ডেবিউ করেন। তবে তার ব্যক্তিগত জীবন মোটেও সুখকর ছিল না। তিনি একটি ডাক্তারকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায় না। ভাগ্যের পরিহাসে তিনি নিজের সমস্ত অর্থ শেষ করে ফেলেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন এই অভিনেত্রী।