কলকাতায় চলবে না বাস, হুঁশিয়ারি বাস মালিকদের! কত দিন ভুগতে হবে যাত্রীদের?

Bus Service Kolkata

কলকাতায় চলবে না বাস, হুঁশিয়ারি বাস মালিকদের! কত দিন ভুগতে হবে যাত্রীদের?

Shree Bhattacharjee

Published on:

শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্টারা রিজন বাস অ্যাসোসিয়েশন। পাঁচটি গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে বিরাট চাপে ফেলতে পারে কলকাতার নিত্যযাত্রীদের (Bus Service Kolkata)। বাড়ছে চিন্তা।

জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি বাস মালিকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার যদি তাদের দাবি না মানে, তাহলে তারা ২২, ২৩ এবং ২৪ মে বাস চলাচল বন্ধ করে দেবেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে সাহায্যও চেয়ে নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সরকার ২০ মে-এর মধ্যে তাদের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি পূরণ না করলে তিন দিনের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেবেন। পরিবহন বাঁচাও কমিটি নামে একটি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এই সতর্কীকরণ এসেছে।

কী কী দাবি রাখা হয়েছে?

জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সেক্রেটারি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাস-মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি প্রদীপ বসুদের তরফে আপাতত তিন দাবি সম্পর্কে জানা গিয়েছে।

১. অনেক বাস পুরনো এবং তাদের বৈধ চলাচলের সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মালিকরা বলছেন যে তাঁদের নতুন বাস কেনার সামর্থ্য নেই। তাই, তাঁরা সরকারের কাছে এই মেয়াদোত্তীর্ণ বাসগুলিকে আরও দুই বছর চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন।

২. ২০১৮ সাল থেকে বাসের ভাড়া (টিকিট মূল্য) বাড়ানো হয়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে জ্বালানি, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য খরচের দাম অনেক বেড়েছে। বাস মালিকরা বলছেন যে এতে লোকসান হচ্ছে। তাই তাঁরা সরকারকে ভাড়া বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছেন।

৩. বাস চালক এবং মালিকরা বলছেন যে পুলিশ প্রায়শই তাঁদের যানবাহন থামায় এবং অন্যায়ভাবে জরিমানা করে। পুলিশ তাঁদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং এটি অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। তাই সরকারের কাছে পুলিশের ‘অত্যাচারের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতের প্রতিশোধের আগুনে ধ্বংসযজ্ঞ পাকিস্তানে! এখনও পর্যন্ত কী কী ঘটেছে? জানুন ১০ পয়েন্টে

বলা বাহুল্য, পরিবহন বাঁচাও কমিটির কথামতো যদি সরকার ২০ মে এর মধ্যে সাড়া না দেয়, তাহলে তারা ২২, ২৩ এবং ২৪ মে সমস্ত বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। এর ফলে দৈনিক যাত্রী এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যাও হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাস মালিকরা স্পষ্ট বলছেন যে তাঁরা জনসাধারণের জন্য সমস্যা তৈরি করতে চান না, তবে কোনও বিকল্প নেই। দাবি পূরণ না হলে ধর্মঘটে যেতেই হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥