পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা রেল প্রকল্পে আশার আলো দেখছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দারা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার-গুরুদাসনগর থেকে বিষ্ণুপুরের বাখরাহাট ও নুঙ্গি পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেলপথ চালুর জন্য প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবেই এই উদ্যোগ।
নতুন রেলপথ তৈরির নির্দেশ আদালতের | Kolkata High Court on New Rail Line in West Bengal
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিষয়টি শুনানির পর আদালত জানায়, “জমি অধিগ্রহণ ও আর্থিক অনুমোদনের জটিলতা কাটিয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে”। রাজ্য সরকার ও রেল মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক জনপ্রতিনিধির করা জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ আসে। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বাজেটে বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ সত্ত্বেও কাজ এগোয়নি।
মামলাকারী আদালতে জানান, “ট্রেন পরিষেবা না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাসে বা অন্যান্য বেসরকারি যানবাহনে চড়ে অতিরিক্ত খরচ করতে হয়। অনেক সময় জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে যেতেও সমস্যা হয়”। এছাড়া জমা করা নথিতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী ও রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি।
আদালতের রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে স্থানীয়রা
এই রায়ে স্বস্তি মিলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। নুঙ্গি অঞ্চলের এক বাসিন্দার মতে, “কলকাতায় চাকরি বা চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা নষ্ট হয়। রেল পরিষেবা পেলে জীবনযাত্রা সহজ হবে”। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের এক বাসচালকের অভিযোগ, “বাসের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে”।
আরও পড়ুনঃ গরমের ছুটির আগেই জোর ঝটকা! হঠাৎ বদলে গেল উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠক্রম, বড়সড় চাপে পড়ুয়ারা
প্রসঙ্গত, রেলওয়ের মতে, জমি অধিগ্রহণের বিষয় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয় কিছু কৃষক জমি হস্তান্তর নিয়ে আপত্তি জানালে তা নিষ্পত্তির জন্যও আলাদা কমিটি গঠনের কথা ভাবছে প্রশাসন। আশা করা হচ্ছে দ্রুত কাজ শুরু হবে।