পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ রাজ্যের গরিব মানুষের খাদ্যের যোগানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে যৌথ প্রচেষ্টায় বিনামূল্যে চাল ও গম দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে। বর্তমানে প্রায় ৮ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই সুবিধা পাচ্ছেন। তবে এখনও রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসতেই থাকে। সম্প্রতি এমনই এক অভিযোগ আসতেই করা পদক্ষেপ নেওয়া হল প্রশাসনের তরফ থেকে।
বাতিল রেশন কার্ড নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের
জানা যাচ্ছে, নিষ্ক্রিয় বা বাতিল হওয়া রেশন কার্ড যে আধার কার্ডের সাথে লিংক করা ছিল সেই আধার কার্ড দিয়ে পুনরায় যাতে কোনো রেশন কার্ড তৈরি না করা যায় তার জন্যই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি খাদ্যশ্রী ভবনে একটি বৈঠক হয়েছিল সেখানেই জানা এই কথা জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রেশন কার্ড চিহ্নিত করা হয়েছে।
কিভাবে জাল আধার দিয়ে মিলত রেশন কার্ড?
আগে আধার কার্ডের নাম্বার দিয়ে নতুন রেশন কার্ডের আবেদন করলেই সাথে সাথে ই-রেশন কার্ড পাওয়া যেত। এরপর সেটি দেখিয়েই বাকি পরিচয়পত্র তৈরি করে নেওয়া হত। তবে এবার থেকে আর সেটা হবে না। জালিয়াতি রুখতে এখন থেকে বায়োমেট্রিক যাচাই করেই রেশন কার্ড দেওয়া হবে। আর জাল আধারে বায়োমেট্রিক ছাপ না মেলায় রেশন কার্ডও পাওয়া যাবে না।
রেশন KYC-তে এগিয়ে বাংলা!
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের বাকি রাজ্যগুলির থেকে রেশন কার্ড ও আধার লিংক করে বায়োমেট্রিক যাচাই থেকে ই-কেওয়াইসির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে বাংলা। বর্তমানে ৯৪% এরও বেশি কার্ডের e-KYC করা হয়ে গিয়েছে। তবে আগামী ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে যে রাজ্যের ১০০% কেওয়াইসি সম্পূর্ণ হবে না তাদের বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুনঃ আপনার Aadhaar Card অন্য কেউ লুকিয়ে ব্যবহার করছে না তো! জানুন এভাবে
প্রসঙ্গত, কেওয়াইসি করার ফলে চাপ উপযুক্ত পারিশ্রমিক মিলছে না বলে অভিযোগ রেশন ডিলারদের। তাই অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের তরফ থেকে কেন্দ্রের বিভাগীয় সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এই কাজের জন্য ২.৫০ টাকা দেওয়া হয়, যেটা কার্ড পিছু ২০ টাকা করার দাবি করা হয়েছে।