শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: হিন্দু ধর্মে চারধাম যাত্রার অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে (Chardham Yatra)। এবার এই মহান যাত্রা শুরু হতে চলেছে ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে। এই তিথি হিন্দু ভক্তদের জন্য অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। জ্যোতিষীদের মতে, দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রা কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বও রয়েছে।
চারধাম যাত্রা কবে শুরু হচ্ছে?
আপনার তথ্যের জন্য, আমরা আপনাকে বলে রাখি যে এই বছর চারধাম যাত্রা বুধবার, ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে, যার জন্য অনলাইন নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ৩০ এপ্রিল যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী ধামের দরজা খোলা হবে। কেদারনাথ ধামের দরজা ২ মে খোলা হবে, আর বদ্রীনাথ ধামের দরজা ৪ মে খোলা হবে।
কেন যমুনোত্রী চারধাম যাত্রার প্রথম গন্তব্য!
উত্তরকাশী জেলায় ১০,৮০৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, যমুনোত্রী ধামকে চারধাম যাত্রার প্রথম গন্তব্য। তবে, যমুনার প্রকৃত উৎস হল চম্পাসার হিমবাহ, একটি হিমায়িত বরফের হ্রদ এবং হিমবাহ, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৪২১ মিটার উচ্চতায় কালিন্দ পর্বতে অবস্থিত। দেবী যমুনার কালো মার্বেল মূর্তি যমুনোত্রী মন্দিরের গর্ভগৃহে বিরাজমান। এখানে পাথর থেকে ঝরে পড়া গরম জলের ধারা, যা ‘ওম’ শব্দের মতো শব্দ উৎপন্ন করে। কি অবাক হলেন তো!
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মা যমুনা হলেন যমরাজের বোন। শাস্ত্রে উল্লিখিত একটি কাহিনী অনুসারে, একবার ভাইফোঁটার দিনে যম বোন যমুনার সাথে দেখা করতে যান। যমরাজ বোন যমুনাকে আশীর্বাদ করেছিলেন যে, যে কেউ তোমার জলে স্নান করবে, তার পাপ বিনষ্ট হবে, মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি পাবে এবং মোক্ষ লাভ করবে। তাই, যমুনোত্রীতে পাপমুক্ত হওয়ার পরেই চারধাম ভ্রমণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, যমুনোত্রী থেকে যাত্রা শুরু করলে চারধাম যাত্রায় কোনও ধরণের বাধা আসে না।
আরও পড়ুন: ৫০ পয়সার কয়েনের দাম ১৬,০০০ টাকা! খুঁজে দেখুন, এই কয়েন রয়েছে কি আপনার বাড়িতে?
ভৌগোলিক কারণ হল চারধাম যাত্রার চারটি প্রধান তীর্থস্থান যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ যাত্রার সময় যমুনোত্রী পশ্চিমে পড়ে, অন্যান্য ধামগুলি এর পরেই। অতএব, ভৌগোলিক পরিস্থিতি বুঝতে পারলে, যাত্রা স্বাভাবিকভাবেই যমুনোত্রী থেকে শুরু করা উচিত। আবার ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, পশ্চিম থেকে পূর্বে ধর্মীয় যাত্রা করা শুভ। তাই যমুনোত্রী প্রথম গন্তব্য হওয়া উচিত।