পার্থ মান্না : তিনবার জুনিয়ার ডাক্তারদের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও ভেস্তে গিয়েছে। তাই ঝড় বৃষ্টি সত্ত্বেও আন্দোলন জারি রেখেছেন। এরই মধ্যে আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ ধর্না মঞ্চের সামনে এসে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনরত জুনিয়ার চিকিৎসকদের সাথে দেখা করে সমস্ত দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন। প্রায় ১০ মিনিট মত নিজের বক্তব্য রাখার পর তিনি সেখান থেকে চলে যান।
এদিন ধর্না মঞ্চে এসে মুখমন্ত্রী জানান, ‘আমার নিরাপত্তার নিষেধ আছে, তবুও ছুটে এসেছি। আপনাদের ব্যাথা বুঝি, আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকেই উঠে এসেছি।.জীবনে অনেক সফর করতে হয়েছে। তাই আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাই। গতকাল সারারাত ঝড় বৃষ্টি হয়েছে আপনারা যে বসে আছেন, সেটা আমায় খুবই কস্ট দিচ্ছে। আপনারা জেগে থাকলে পাহারাদার হিসাবে আমাকেও তো জেগে থাকতেই হয়। বিগত ৩৪টা দিন আমিও রাতের পর রাত ঘুমাতে পারিনি’।
এরপর আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের বিষয়ে তিন জানান, ‘আপনারা কষ্ট না করে কাজে ফিরুন আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আপনাদের সমস্ত দাবি সহানুভূতির সাথে পর্যলোচনা করা হবে। আমি তো এক সরকার চালায় না, একটা চিফ সেক্রেটারি, ডিজি পুলিশ ও বাকি আধিকারিকদের সাথে কথা বলব। আমিও তিলোত্তমার বিচার চাই। তাই CBI কে অনুরোধ করব যাতে দ্রুত দোষীদের শাস্তি দিতে। যারা দোষী তাদের নিশ্চিতভাবে শাস্তি হবেই। আমায় একটু সময় দিন, আমার উপর যদি আস্থা ভরসা থাকে। আমি আপনাদের বিষয়গুলি নিয়ে হাসিনটা ভাবনা করব ও কথা বলে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।
এখানেই শেষ নয়, এদিন মমতা আরও বলেন, আপনারা আমাদের ঘরে ভাইবোন। তাই আমি কোনোরকমের অবিচার হতে দেব না। সমস্ত হাসপালে নতুন করে রোগী কল্যাণ সমিতি তৈরী করা হবে। সেখানে জুনিয়ার ও সিনাইর ডাক্তার, নার্স থেকে পুলিশ প্রতিনিধিরা থাকবেন। তবে আরজি করে পুরোনো সমিতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে সেটা নতুন করে তৈরী করা হবে। একইসাথে জুনিয়ার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি’।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জুনিয়ার ডাক্তারদের সাথে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মোট ৩২ জন সেখানে পিউচালেও বৈঠক হয়নি। কারণ লাইভ সম্প্রচার ও ৩২ জন সদস্যকে নিয়ে মিটিংয়ের শর্ত মানা হয়নি নবান্নের পক্ষ থেকে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার বৈঠকে বাতিল হয়ে গিয়েছিল।