চৈত্র সংক্রান্তিতেই কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধন করলেন মমতা, কোথায় ডালার দোকান ও প্রবেশের পথ?

CM Mamata Banerjee Inaugurates Kalighat Skywalk

চৈত্র সংক্রান্তিতেই কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধন করলেন মমতা, কোথায় ডালার দোকান ও প্রবেশের পথ?

Partha Sarathi Manna

Published on:

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ আজ পয়লা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মেতে উঠেছে বাঙালি। আর তার আগেই কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যাঁ গতকাল অর্থাৎ সোমবার কালীঘাট স্কাইওয়াকের পাশাপাশি হকার্স কর্ণারেরও উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর প্রতিবছরের মত চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় পায়ে হেঁটে কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন।

পয়লা বৈশাখের আগেই হল কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন

এর আগে বাংলার দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরি হয়েছে। সেই থেকেই মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্ন দেখতেন কালিঘাটেও একই রকম একটা স্কাইওয়াক তৈরি করবেন। তবে কাজটা যে খুব সহজ ছিল তা কিন্তু একেবারেই নয়। দক্ষিণেশ্বরে জায়গা থাকলেও কালীঘাটের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় খুব বেশি জায়গা না থাকায় স্কাইওয়াক তৈরি বেশ চ্যালেঞ্জিং। মাঝে একাধিকবার স্থগিত হয় কাজ, তবে শেষমেশ নববর্ষের আগেই উদ্বোধন হয়ে গেল কালীঘাট স্কাইওয়াকের।

কালীঘাট স্কাইওয়াকের বিশেষত্ব | Kalighat SkyWalk

এই কালীঘাট স্কাইওয়াকের বিশেস্বত্ব সম্পর্কে বলতে গেলে শুরুতেই বলতে হয় এটি ৪৩৫ মিটার লম্বা ও ১০.৫ মিটার চওড়া। ফলে যাতায়াতের কোনো অসুবিধাই হবে না। স্কাইওয়াকে ওঠা ও নামার জন্য দুটি এস্কেলেটর, তিনটি লিফ্ট ও তিনটি সিঁড়ি থাকছে। ফলে পুণ্যার্থীরা যে কোনোভাবেই উপরে উঠতে ও নামতে পারবেন। তাছাড়া স্কাইওয়াকের ফলে নিচে রাস্তায় যানজটের সমস্যা যেমন কমবে, তেমনি মানুষ নিশ্চন্তে মায়ের কাছে পুজো দিতে পারবেন।

মূল প্রবেশ পথ ও প্রস্থানের পথ কোথায়?

স্কাইওয়াক তো হল, তবে সেখানে প্রবেশ ও বেরোনোর রাস্তা কোথায়?  উত্তর হল শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড, হাজরা রোড ও কালীঘাট রোড। এই তিন জায়গা থেকেই কালীঘাট স্কাইওয়াকে উঠতে ও নামতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ পকেট ভরবে মোদী সরকারের, সরকারকে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা কেন দেবে RBI? ফাঁস বড় খবর

কি বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

এদিন কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, কালীঘাট মন্দিরকেও নবরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এর জন্য যে খরচ হয়েছে তার ৯৯% বহন করেছে রাজ্য সরকার। তাছাড়া মন্দিরের ছোট্ট একটি সোনার চূড়া তৈরি করতে চেয়েছিল মুকেশ আম্বানিরা, সেটা মঞ্জুর করা হয়। বাকি সমস্ত টাকাই রাজ্যের তহবিল থেকে গিয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥