শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দক্ষিণের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া, উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙের মতো জেলাগুলো ক্রমাগত চরম দুর্যোগের দিন দেখছে। বাংলায় এখন দাবদাহ বেশ খানিকটা কমে গেলেও, এক নতুন আশঙ্কা এখন পিছু ছাড়ছেই না। জানা যাচ্ছে, নতুন করে দানা বাঁধছে সাইক্লোন (Cyclone Update)! এবার এলে নাকি আমফানের থেকেও বড় আকারে আসবে। তাহলে কি এবার ২০০ কিমি ছুঁয়ে যাবে ঝড়ের বেগ! কী বলছে হাওয়া অফিস? জানলে ভয় লাগতেই পারে।
বৈশাখ নয়, এখন যেন প্রাক বর্ষার মরসুম। এই রোদ তো এই বৃষ্টি, বিকেল হলেই ঝড়। বঙ্গোপসাগরে একের পর এক ঘূর্ণাবর্তের জেরে রীতিমত কালবৈশাখীর তাণ্ডব চলছে রাজ্য জুড়ে। এই আবহেই চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট নিয়ে বড় আপডেট জানা গেল। প্রশ্ন একটাই, আবার কি আমফানের কবলে পড়তে হবে! নাকি আরও বড় কিছুর সাক্ষী থাকতে হবে?
বৃষ্টির এই মে মাসে ঝড়ের সম্ভাবনা কতটা?
ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসে শুধু বাংলায় নয়, সারা ভারতেই স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। উত্তর-পশ্চিম ভারত, পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে স্বাভাবিকের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তের কারণে বাংলা জুড়ে এমনিতেও চলছে উত্তাল ঝড়-বৃষ্টি। মাঝে মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শিলাবৃষ্টিও নজর কেড়ে চলেছে। সব মিলিয়ে চিন্তা তো থাকছেই। কারণ বিকেলে হলে ঝড়ের দাপট দেখা গেলেও, তা নিতান্তই কম, ৬০ কিমির আশেপাশে। এবার এই ঝড় বড় আকার ধরে কিনা, সেটা ভবিষ্যতে জানাবে প্রকৃতি।
আরও পড়ুন: হাওড়া লাইনে বড় বিপত্তি, অর্ধেক মাস বাতিল একাধিক লোকাল থেকে এক্সপ্রেস! জানাল রেল
এদিকে, সম্প্রতি বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে চলতি মাসে বঙ্গোসাগরে প্রায় তিনটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তার মধ্যে একটি বা দুটি আরও শক্তি বাড়িয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ধেয়ে আসা সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের মুখ কোনদিকে হবে, এটি কোনদিকে আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে যদিও এখনও কিছু জানানো হয়নি। তাই এখন ভয় ছাড়ছে না পিছু। যদিও কোনরকম মতামত প্রকাশ করেনি ভারতের আবহাওয়া দফতর।