পার্থ মান্নাঃ আর মাত্র কয়েক ঘন্টা তারপরেই ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আছড়ে পড়বে। মৌসম ভবন বা IMD এর তরফ থেকে এমনটাই পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে সাগরদ্বীপ ও পুরীর মাঝেই কোনো এক জায়গায় ল্যান্ডফল হবে ‘দানা’র। যার জেরে ঝোড়ো হাওয়া আর সাথে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছেই। তাই আগে থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে একাধিক জেলায়।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে স্কুলে ছুটির ঘোষণা
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যের শিক্ষা দফতরের থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুলের ছুটি ঘোষণাও করা হয়েছে। এদিন জানানো হয়, স্কুলের পড়ুয়াদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সতর্কতা হিসাবে আগামী ২৩শে অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে।
রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের তরফ থেকে কিংকর অধিকারী। তিনি জানান, ‘এমন পরিস্তিতিতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত। সরকারি হোক বা বেসরকারি ছাত্রছাত্রীদের জন্য আগে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
কখন আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’?
Indian Meteorological Department এর মতে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবারের মধ্যেই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরী হবে ঘূর্ণিঝড়। এরপর বৃহস্পতি ও শূকর বারের মধ্যেই সাগরদ্বীপ বা পুরীর মাঝে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের মধ্যে দিয়ে যাবে ‘দানা’। এই সময় ১০০ থেকে ১২০ কিমি বেগে হাওয়া চলবে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে ভারী বৃষ্টি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। যার জেরে আগামী কয়েকদিন উপকূলের মৎসজীবদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিনটি জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রামেও যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। টি কৃষকদের আগে থেকেই ধানের ৮০% পেকে গিয়ে থাকলে কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে পেঁপে, কলা ইত্যাদি গাছের ক্ষেত্রে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখার জন্য বলা হয়েছে।