পায়রা,Pigeon

Moumita

আগেকার দিনে পায়রাকে দিয়ে চিঠি পাঠানোর পিছনের রহস্য জানেন কি? রইল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া ছবির ‘কবুতর যা-যা-যা,
কবুতর যা-যা-যা’ গানটি নিশ্চয়ই সবাই শুনেছেন। ছবিতে একটি পায়রার মাধ্যমে নিজের প্রেমিকের জন্য চিঠি পাঠায় ছবির নায়িকা। তবে পায়রার মাধ্যমে চিঠি বা বার্তা পাঠানোর গল্প শুধুমাত্র চলচ্চিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু। সেই আদি অনন্তকাল থেকেই এই প্রথার চল ছিলো।

   

তবে বর্তমান দিনে চিঠির জায়গায় এসেছে মেসেজ ও কল আর পায়রার জায়গায় এসেছে স্মার্টফোন। তবে আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, এতো পাখি থাকা সত্ত্বেও কেন পায়রাকেই বার্তা বা চিঠি পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হত? ভাবতে পারেন, মানুষ আগে একটা পায়রার ভরসায় এতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছেড়ে দিতো।

আসলে পায়রার মাধ্যমে চিঠি বা বার্তা পাঠানোর পিছনে একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে, যা খুব কম মানুষই জানেন। আসলে, পায়রা কখনো কোনো পথ ভুলে যায় না। কোনো পায়রা একবার একটা রাস্তা দেখলে সেই রাস্তা সে কোনোদিনই ভোলে না।

পায়রা,Pigeon

আসলে পায়রার শরীরে এমন একটি বিশেষ ব্যবস্থা থাকে, যা জিপিএসের মতো কাজ করে। এই জিপিএস সিস্টেমের কারণেই পায়রা কখনোই তার পথ ভুলে যায় না। পাশাপাশি এরা নতুন রাস্তা খোঁজার জন্য ম্যাগ্রাটোরসেপশন দক্ষতা ব্যবহার করে থাকে।

জানিয়ে রাখি, পায়রার শরীরে ৫৩ ধরনের বিশেষ কোষ পাওয়া যায়। আর এই বিশেষ কোষগুলিই পায়রাকে দিক নির্দেশ করতে সাহায্য করে। জেনে অবাক হবেন যে, পায়রা মানুষের মতোই খুব সহজে সব জিনিস দেখতে ও চিনতে পারে। পায়রার চোখের রেটিনায় এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন পাওয়া যায়।

পায়রা,Pigeon

এই সমস্ত কারণে, প্রাচীনকালে পায়রাকে বার্তা বা চিঠি পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হত। এইসব বিশেষ কারণেই পায়রা কখনই তাদের পথ ভুলে যায়না বা দিক হারায় না। তবে আজকের দিনে ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপের যুগে হারিয়ে গেছে এই প্রথা।