দিনদিন যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে চাকরির টাকায় সংসার চালানো মুশকিল। এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হলো ব্যবসা। যেহেতু ভারতে বিপুলসংখ্যক মানুষের বসবাস, তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে বাজার ধরা খুব সহজ। কিন্তু ঠিক কোন ব্যবসা করলে সবচেয়ে বেশি লাভ করা যায়, তা অনেকেরই থাকে অজানা। আবার অনেকের কাছে আইডিয়া থাকলেও পুঁজির অভাবে পিছিয়ে আসেন। এমতাবস্থায় আজ এমন এক ব্যবসার কথা বলবো যাতে খুব সহজে এবং কম খরচে মোটা টাকা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন আপনারা।
নিমকি জাতীয় খাবার তো আমরা সবাই খেয়ে থাকি। গোটা ভারতের প্রতিটি রান্না ঘরে ঢুকলেই নিমকির কৌটো খুঁজে পাবেন। চায়ের সাথে হোক বা হঠাৎ খিদে, সবকিছুতেই একমুঠো নিমকি একেবারে আদর্শ জিনিস। তাই বিভিন্ন ধরণের নিমকির ব্যবসা করে মোটা লাভ পকেটে পোরা কোনও বিচিত্র বিষয় নয়। কিন্তু এই একটা ছোটো জিনিসকে বৃহৎ কীভাবে বানাবেন সেটাই জানার বিষয়।
লাভ হওয়ার সম্ভাবনা কতটা : প্রথমেই বলি, যে কোনো স্ন্যাকসেরই চাহিদা সবসময়ই তুঙ্গে থাকে। তাই লাভের আশা ষোলো আনাই। এমতাবস্থায় ছোটো বা বড়ো যে কোনোভাবেই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এখানে মূলধনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। আপনার পুঁজি কম থাকলে খুব কম টাকাতেও শুরু করা যেতে পারে এই ব্যবসা।
এই ব্যবসায় কতটা জায়গা লাগবে : যদি ছোটো ভাবে শুরু করতে চান তাহলে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই। মোটামুটি ৩০০-৫০০ স্ক্যোয়ার ফুটের একটা জায়গা হলেই চলবে। এখানেই নিজের কারখানা তৈরি করে নিতে পারেন। তবে হ্যাঁ, খাদ্য সামগ্রীর ব্যবসার জন্য FSSAI রেজিস্ট্রেশন এবং ফুড লাইসেন্স নিতে ভুলবেন না যেন।
কাঁচামাল ও মেশিন লাগবে : প্রাথমিকভাবে কাঁচামাল হিসেবে দরকার তেল, আলু, ডাল, বেসন, চিনাবাদাম এবং মশলা। এই দিয়েই তৈরি হয় নিমকি। এবার আপনার কাছে যদি নিজস্ব কোনো রেসিপি থাকে যাতে এই নিমকির স্বাদ ভিন্ন এবং আরো বাড়ানো যায় তাহলে সেটাও ট্রাই করতে পারেন। তবে এই নিমকি বানানোর জন্য একটা মেশিনের প্রয়োজন।
আয় কত হবে : এখন ধরে নিলাম যে ব্যবসায় ২ থেকে ৬ লাখ টাকার খরচ হয়েছে। প্রথম দিকে সাধারণত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ লাভ থাকে এই ব্যবসায়। সেক্ষেত্রে যদি ৬ লাখ টাকা খরচ করা হয় তাহলে ৩০ শতাংশ হিসেবে তার মাসিক আয় দাঁড়াবে ১৮ লক্ষ টাকা। অবশ্য এর চেয়ে কম পুঁজিতেও এই ব্যবসা শুরু করা যায়। তাই ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্যই এই আইডিয়াটা ভেবে দেখতে পারেন।