বলিউড,বিনোদন,শুটিং,রেল স্টেশন,বীর জারা,চেন্নাই এক্সপ্রেস,Bollywood,Entertainment,Shooting,Rail Station,Veer Zaara,Chennai Express

Moumita

শুধুমাত্র বলিউড থেকেই ভারতীয় রেলের আয় প্রায় ৩ কোটিরও বেশি! কিভাবে জানেন?

যে কোনো ছবির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো তার লোকেশন। আর এই পারফেক্ট লোকেশনের খোঁজে অভিনেতা-নেত্রী সহ ছবির টিম পাড়ি দেন নানান দেশে। এমতাবস্থায় আমরা অনেক সময়ই ট্রেনের দৃশ্য দেখে থাকি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে কি এগুলো কি সত্যিই ট্রেনে করা হয় নাকি সবটাই সাজানো। চলুন দেখে নিই এর ভেতরের সত্যটা।

   

১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নায়ক ছবির অধিকাংশই একটি ট্রেনের দৃশ্য। যেখানে উত্তম কুমার এবং শর্মিলা ঠাকুরের কথোপকথনকে দেখানো হয়েছে। অপরদিকে ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’র শেষ দৃশ্য তো বলিউডের আইকনিক সিন হয়ে রয়ে গেছে।

এছাড়া ‘কুলি’, ‘বীর জারা’, ‘শোলে’, ‘গদর: এক প্রেম কথা’, ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’, ‘ইয়ে জওয়ানি হে দিওয়ানি’ ‘বাগবান’, ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, সহ একাধিক বলিউড ছবিতে রেল স্টেশন বা ট্রেনের দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

এরমধ্যে অনেক ছবির শুটিংই স্টুডিওতে সেটআপ তৈরি করে করা হলেও বেশিরভাগ ছবিই শুট করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনে। জেনে অবাক হবেন এই শুটিং বাবদ ছবির নির্মাতাদের থেকে একটা মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে রেল কর্তৃপক্ষ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষেই বলিউডের একটি ছবি শুট করার অনুমতি দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে প্রায় ২.৫ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, এই শুটিং কিন্তু যখন তখন করা যায় না। এরজন্য প্রথমে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিতে হয়। একারণেই ভারতীয় রেল বোর্ডের সঙ্গে ফিল্ম ফ্যাসিলিটেশন অফিসের সহযোগিতায় একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান দিনে এই এই পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন জানানো হয়।

যদিও পূর্বে অফলাইনেই আবেদন জানানো হতো। মোট জন আঞ্চলিক মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দ্বারস্থ হতে হতো নির্মাতাদের। তবে এখনও ডকুমেন্টারি, মিউজিক ভিডিও বা বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের জন্য অফলাইনের মাধ্যমেই আবেদন জানাতে হয়।