পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ শীতের শেষ হয়ে গেলেও এখনও সকালের দিকে কিছুটা ঠান্ডা ভাব রয়ে গিয়েছে। তবে গরমকালে যে শুরু হয়ে গিয়েছে তা বেলা বাড়লেই বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। গ্রীষ্মকাল এলেই যে সমস্যা মাথাচাড়া দেয় সেটা হল জলকষ্ট, অথচ শহর কলকাতায় এমন বহু কল দেখা যায় রাস্তার ধারে যেখান থেকে ব্যাপক পরিমাণে জলের অপচয় হয়। তাই এবার জলের অপচয় রুখতে করা পদক্ষেপ নিতে তৈরি কলকাতা পুরসভা।
জলের অপচয় রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে কলকাতা পৌরসভা
আজ অর্থাৎ সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়। সেখানেই বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফ থেকে শঙ্কর ঘোষ রাজ্যে হওয়া জল অপচয়ের সম্পর্কে জানতে চান সরকারের তরফ থেকে। যার উত্তরে কলকাতা শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, আমাদের সরকারের লক্ষ্য রাস্তার ধারের কলের সংখ্যা কমানো। কারণ এখন সব বাড়িতেই জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বলেছি বাড়িতে জলের ট্যাঙ্ক করে রাখতে যাতে জল ধরে রেখে সেটা দিয়েই সারাদিনের কাজ চালানো যায়। কিন্তু এখনও কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে বাড়িওয়ালা আর ভারতের সমস্যা তো কোথাও শরিকি সমস্যা। তাই কিছু জায়গায় রাস্তার কল রাখতে বাধ্য হয়েছি।
এখানেই শেষ নয় তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের পুরসভা এলাকাগুলিতে ৭৩,০০০ স্ট্যান্ড পি অসৎ রয়েছে যেখানে জলের অপচয় বন্ধ করতে ট্যাপ লাগানো থাকে। অথচ তারপরেও বহুজায়গায় স্ট্যান্ড পোস্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ট্যাপ লাগানো থাকলে জলের গতি কম হওয়ার হয় কিন্তু জলদি জল ভরতে সেই ট্যাপ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
প্রয়োজনে তুলে দেওয়া হবে স্ট্যান্ড পোস্ট
এদিন ফারিহাদ হাকিম জানান, কলকাতা পুরসভা এলাকায় তিন থেকে চারবার ট্যাপ লাগানো হয়েছে। অথচ প্রতিবারেই সেটা ভেঙে দেওয়া হয়। তবে এভাবে চলতে থাকলে স্ট্যান্ড পোস্ট তুলে নেওয়া হবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, জলই জীবন তাই জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। জীবনের কোনো কর হয় না তাই জলের কোনো কর দেওয়া হয় না। তাতবে যদি জলের অপচয় হতে থাকে তাহলে আমরা কড়া পদক্ষেপ নেব।
আরও পড়ুনঃ শিয়ালদা টু কৃষ্ণনগর চলবে বাংলার প্রথম AC লোকাল, প্রকাশ্যে এল ভাড়া
পরিসংখ্যানের দিক থেকে জানা যাচ্ছে, ৭৩,০০০ স্ট্যান্ড পোস্টের মুখে ট্যাপ বসানো হয়ে গিয়েছে। যে ২৮২৩ স্ট্যান্ড পোস্টের মুখে ট্যাপ বসানো হয়নি, তবে এর মধ্যে বেশ কিছু ট্যাপ পুনরায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাইপের মাধ্যমে মোট ৬৪ লক্ষ মানুষের বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে মার্চে মাসের শেষের মধ্যেই আরো ১১ লক্ষ ৮২ হাজার বাড়িতে কানেকশন দেওয়া হবে।