ভারতে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম হিন্দু গ্রাম, জানুন কোথায়

First Hindu Village of India

ভারতে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম হিন্দু গ্রাম, জানুন কোথায়

Shree Bhattacharjee

Published on:

শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দেশের প্রথম হিন্দু গ্রাম তৈরি হতে চলেছে (First Hindu Village of India)। প্রকৃতপক্ষে, মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলায় অবস্থিত বিখ্যাত ধর্মীয় স্থান বাগেশ্বর ধামের প্রধান পুরোহিত পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী এমন একটি গ্রামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। তিনি দেশের প্রথম ‘হিন্দু গ্রামের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা আগামী দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই হিন্দু গ্রামে প্রায় ১,০০০ পরিবারকে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

দেশের প্রথম হিন্দু গ্রাম কোথায়?

বাগেশ্বর ধামে (গড়া) এমন একটি গ্রাম তৈরি হবে। বাগেশ্বর ধাম জনসেবা সমিতি সনাতন ধর্মপ্রেমীদের জমি দেবে। তাঁরা এর উপর তাঁদের ঘর তৈরি করতে পারবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে, প্রথম দিনেই, দুটি পরিবার এখানে বসতি স্থাপন করতে সম্মত হয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করে। এছাড়াও, এই হিন্দু গ্রামে প্রায় ৫০ জনকে ঘর তৈরিতে সম্মত হতে দেখা গিয়েছে।

সনাতন ধর্ম প্রচারে গ্রামটি সাহায্য করবে

পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী এই অনুষ্ঠানে বলেন যে, সনাতন ধর্ম প্রচার এবং হিন্দু সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য এই গ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে এই উদ্যোগ সমাজে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: বাংলার উপর দিয়েই যায় ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘতম রুটের ট্রেন, সেরা পাঁচ কারা? রইল তালিকা

গ্রামের মানুষ বিশেষ সুবিধা পাবেন

বাগেশ্বর ধামে নির্মিত এই হিন্দু গ্রামটি হবে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এখানকার মানুষের জন্য মন্দির, গোয়ালঘর, যজ্ঞশালা এবং সংস্কৃত বিদ্যালয়ের মতো সুযোগ-সুবিধা থাকবে, যা এখানে বসবাসকারী মানুষের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সুযোগ করে দেবে।

ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সংরক্ষণের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

স্থানীয় প্রশাসন এবং সমাজের বিভিন্ন অংশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই গ্রামটি এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শুধু তাই নয়, এটি ধর্মীয় পর্যটনকেও উৎসাহিত করবে। বাগেশ্বর ধামে নির্মিত এই হিন্দু গ্রামটি কেবল ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠবে। এই উদ্যোগটি দেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ এবং প্রচারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সঙ্গে থাকুন ➥