Alex,Cancer,Canada,Halloween,Viral Video,অ্যালেক্স,কানাডা,হ্যালোউইন,ভাইরাল ভিডিও

Moumita

পর্দার ‘উমা’র ঘটনা বাস্তবে, আয়ু নেই বেশিদিন, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুকে অকাল হ্যালোইন উৎসব উপহার দিলেন প্রতিবেশীরা

এদিকে চিকিৎসকরাও হাত উঠিয়ে নিয়েছে, হাতে আর বেশি সময় নেই। কিন্তু হ‌্যালোইন দেখার যে প্রবল ইচ্ছে। একরত্তি বাচ্চাটার এই শেষ ইচ্ছে কি পূরণ হবেনা। বছর পাঁচেকের অ্যালেক্সকে নিয়ে যখন দিশেহারা হয়ে উঠেছে তার বাবা মা তখনই এগিয়ে এলো পড়শিরা। সাম্প্রতিক ভাইরাল একটি খবরে নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে।

   

চলতি মাসের শুরুতে কানাডিয়ান দম্পত্তি নিক ও কিরা জেনে গেছিলো তাদের সন্তানের ভবিষ্যত সম্পর্কে। চিকিৎসক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, হাতে আর মাত্র কয়েকটা সপ্তাহ। আসলে তাদের ছেলে যে দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত। কঠিন রোগ থাবা বসিয়েছে তাদের একরত্তি অ্যালেক্সের শরীরে।

কানাডার অন্টারিয়োর বাসিন্দা দম্পতি নিক্ ও কিরার একমাত্র ছেলে পাঁচ বছরের অ্যালেক্স। সে দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন পরিস্থিতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। খুব বেশি হলে কয়েকটা সপ্তাহই আছে অ্যালেক্সের হাতে। কিন্তু অ্যালেক্স যে হ্যালোউইন দেখার বায়না করেছিলো‌। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কি আর সময় আছে তার কাছে?

সন্তানকে তো হারাতে বসেইছেন, কিন্তু তার শেষ ইচ্ছেটাও কি পূরণ হবেনা? এই ভাবনায় যখন দিশেহারা নিক-কিরা তখনই এগিয়ে এলো তাদের এক বন্ধু পলা অ্যান্ডারসন। সেই পরিকল্পনা করে অকাল হ্যালোউইনের। আইডিয়া আসতেই বিষয়টি ছড়িয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান যে, তিনি অ্যালেক্সকে অকাল হ্যালোউইন উপহার দিতে চান।

অভূতপূর্ব সাড়া মেলে সামাজিক মাধ্যমে। মাত্র এক দিনের মধ্যেই হয়ে যায় সমস্ত আয়োজন। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর অন্টারিয়োতে আয়োজিত হয় ‘হ্যালোউইন নাইট ফর অ্যালেক্স’। দেখা যায় নানা রঙে, নানা সাজে সেজে হাজির হয়েছেন শত শত মানুষ। সবাই এসেছে এ ছোট্টো অ্যালেক্সের জন্য। পাশাপাশি ঐদিন প্যারেডে শামিল হয়েছেন নিক-কিরার মতোই কিছু সন্তানহারা দম্পত্তি।

তারই মধ্যে একজন হলেন অ্যারিয়েন ক্লার্ক। তিনিও গত ২০১৯ সালে নিজের ৫ বছরের সন্তানকে হারিয়েছিলেন। এইদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখে তিনিও এসে হাজির হন। এতো মানুষ, এতো রঙ, এতো সমাহার দেখে ছোট্ট অ্যালেক্সের মুখের হাসি যেন থামছেই না। আর তার ইচ্ছে পূরণ করতে পেরে খুশি সবাই।