পার্থ মান্নাঃ ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ একথা মাথায় রেখে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে এক বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বর্তমানে সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে পাঠ্য বই দেওয়া হয় একথা সকলেরই জানা। অবশ্য শুধু বই নয়, সাথে পোশাক থেকে সাইকেল এমনকি একটা নির্দিষ্ট ক্লাসে উঠলে মোবাইল / ট্যাব কেনার জন্যও টাকা দেওয়া হয়। আর স্কুলে মিড ডে মিল তো রয়েছেই । তবে সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলও রয়েছে।
তবে এবার জানা যাচ্ছে বেসরকারি স্কুলেও সরকারি বই দেওয়া হবে, তাও বিনামূল্যে। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন। বেসরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও সরকরি বই দেওয়া হবে। এমনি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। তবে কি সেগুলোও পড়তে হবে প্রাইভেট স্কুলের পড়ুয়াদের? বিস্তারিত রইল আজকের প্রতিবেদনে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রান্তিক এলাকায় বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেকটাই কম। তাছাড়া আর্থিক কারণে অনেকেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই বেসরকারি স্কুলে পড়লেও অনলাইনে আবেদন করলেই বিনামূল্যে সরকারি পাঠ্যপুস্তক পাওয়া যাবে।
জানা যাচ্ছে, বর্তমানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনেই প্রান্তিক এলাকার ৪০ থেকে ৫০টি স্কুল রয়েছে। সেই সমস্ত স্কুলের ছাত্রদের পড়াশোনায় যাতে আর্থিক কারণে কোনো বিঘ্ন না ঘটে তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।
তাঁদের মতে, ‘রাজ্য যখন শিক্ষক হীনতায় ভুগছে, আর্থিক দুরবস্থার কারণে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ঢুকছে। সেখানে বেসরকারি বিদ্যালয়কে সমর্থন করা নিতান্ত বিরোধিতা ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ সরকারের তরফ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এটা কখনোই কাঙ্খিত হয়। রাজ্য সরকারের উচিত দুষ্ট এলাকাগুলিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরায় সাজিয়ে তোলা। বরং, অনেকের মতে ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে পাঠ্য পুস্তকের দাম কমানো উচিত। এর ফলে সরকারি হোক বা বেসরকারি সকল শিক্ষার্থীরা বই কিনে পড়তে পারবে।