শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: চাপ বাড়ছে রান্নার গ্যাস গ্রাহকদের। চিন্তায় অনেকেই। সরকারের নতুন নিয়ম ভয় ধরাচ্ছে হেঁশেলে। মুদ্রাস্ফীতির এই বাজারে ভর্তুকি বন্ধ হওয়াটা টেনশনেরই বিষয়। কীভাবে এই বিপদ এড়ানো যেতে পারে, খুঁজছেন সকলেই। আসলে, কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাস গ্রাহকদের আধার যাচাই সম্পন্ন করতে বলে আসছে। ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাস পাওয়ার জন্য এই যাচাইকরণ প্রয়োজনীয়। এখনও পর্যন্ত, যাচাইকরণের প্রায় ৪০% কাজ এখনও মুলতুবি রয়েছে।
নথি জমা না দিলে ঠিক কী হবে?
গ্যাস গ্রাহকদের জন্য আধার যাচাই প্রক্রিয়া ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। তবে, অগ্রগতি ধীর। অনেক গ্রাহক প্রয়োজনীয় নথি জমা দেননি বা সময়মতো যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। উপরন্তু, সার্ভার সমস্যা এবং যাচাইকরণ কেন্দ্রগুলিতে দীর্ঘ লাইনের মতো প্রযুক্তিগত সমস্যা প্রক্রিয়াটিকে আরও ধীর করে দিয়েছে। যার ফলে সময়সীমা বারবার বাড়ানো হয়েছে।
বাড়ানো হয়েছে সময়সীমা
নতুন সময়সীমা ৩১ মার্চ, ২০২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার এরপরে আর হয়ত এই সময়সীমা বাড়ানো হবে না। তাই সময় যত এগিয়ে আসছে, গ্রাহকদের সতর্ক করা হচ্ছে যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে তাদের গ্যাস ভর্তুকি হারাতে হতে পারে। তবে, সরকার এখনও তাদের আধার যাচাই করতে ব্যর্থ গ্রাহকদের জন্য সঠিক পরিণতি ঘোষণা করেনি।
আধার যাচাইকরণ না করলে ভর্তুকি তো পাবেন না। এর পাশাপাশি, যেসব গ্যাস গ্রাহকের এখনই তাঁদের গ্যাস ভর্তুকি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাঁরা তাঁদের গ্যাস বিতরণকারীর কাছে ব্যাঙ্ক নথি জমা দিয়ে আসতে পারেন। আসলে, কিছু ক্ষেত্রে, ভুল বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুপস্থিত থাকার কারণে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর সমাধানের জন্য, গ্রাহকদের তাঁদের গ্যাস বিতরণকারীর অফিসে যেতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যাঙ্ক নথি সরবরাহ করতে হবে। নথি জমা দেওয়ার পরে, ভর্তুকি পুনরায় চালু হওয়ার আশা করা হচ্ছে। তাই গ্রাহকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার জন্য পরিবেশকের অফিসে যেতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।