শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: নির্বাচনের আগে একের পর এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করছে ঝাড়খণ্ড সরকার। অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন খাতের কর্মীরা রাজ্য সরকারের কাছে বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি মিললেও সেই কথা রাখতে দেরি হয়েছে। এবার আর তা করা হল না। সম্প্রতি, স্বাস্থ্য বিভাগের বহুমুখী কর্মীদের (এমপিডব্লিউ) জন্য উল্লেখযোগ্য বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে।
কত টাকা বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে
একটি আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ হিসেবে, এই কর্মীরা এখন অতিরিক্ত ৫,০০০ টাকার সম্মানী ভাতা পাবেন, যার ফলে তাঁদের মাসিক বেতন ২০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা হতে চলেছে। এই বৃদ্ধি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। এরই সঙ্গে কর্মীরা তাঁদের বকেয়া বেতনও পাবেন যে মাসগুলিতে তাদের বর্ধিত পরিমাণ দেওয়া হয়নি।
বেতন বৃদ্ধির কারণ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ ইরফান আনসারি এই বৃদ্ধির প্রশংসা করেছেন, এটিকে হোলি এবং রমজান উৎসবের সময় কর্মীদের জন্য “উপহার” বলে অভিহিত করেছেন। ডঃ আনসারি এই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আসলে, এমপিডব্লিউ কর্মীদের মধ্যে বেতন বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। ম্যালেরিয়া নির্মূল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মসূচির মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য উদ্যোগে তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা এই ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের জন্য নতুন নিয়ম
আরও একটি ক্ষেত্রে, জামশেদপুরের পারসুদিতে সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের উপস্থিতি সম্পর্কে কঠোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ সাহির পাল উল্লেখ করেছেন যে সাম্প্রতিক পরিদর্শনের সময় অনেক ডাক্তারকে তাঁদের ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। এই আচরণ রোগীদের অসুবিধার কারণ হয়েছে। বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। ফলস্বরূপ, ডাঃ পাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে দেরিতে আসা আর সহ্য করা হবে না, এবং যে কোনও ডাক্তার সময়মতো রিপোর্ট না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কর্তৃপক্ষ এই সমস্যাটি সমাধান করতে এবং জনসাধারণের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, এমপিডব্লিউদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ঝাড়খণ্ড সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতিই বটে। এই বৃদ্ধি কেবল কর্মীদেরই উপকার করবে না বরং রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করবে।