পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ দরিদ্র মানুষের খাদ্যের সুরক্ষা নিশ্চিন্ত করতে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় রেশনে (Ration)। আপনিও কি রেশন থেকে চাল, গম নেন? তাহলে আপনার জন্য রইল বড় খবর। কারণ জানা যাচ্ছে একধাক্কায় ১৫ লক্ষ জনের মাথায় কার্যত বাজ পড়েছে। কারণ এই বিপুল সংখ্যক মানুষ আর রেশন পাবেন না! নয়া নিয়মের জেরে এবার বঞ্চিত হবেন অনেকেই। কারা রেশন পাবেন না আর কেন? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
একধাক্কায় বাতিল ১৫ লক্ষ রেশন কার্ড?
সরকারের তরফ থেকে যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য প্রদান করা হয় তা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের লাইন লেগে গেলেও বহু ক্ষেত্রেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। আর এবার জানা যাচ্ছে, দুর্নীতি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই রেশন কার্ডের ই-কেওয়াইসির প্রচারও করা হয়েছে। আর সেখানেই জানা গেল প্রায় ১৫ লক্ষ এমন রেশনকার্ড হোল্ডার রয়েছেন যারা হয় বেঁচেই নেই নয়তো বা কোনো কারণ বশত বিগত ৪ মাস ধরে রেশন নিতে রেশন কেন্দ্রে আসেননি।
এখানেই শেষ নয়, যে সমস্ত গ্রাহকেরা কেওয়াইসি করেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৮৩ লক্ষ জনের E-KYC বিচারাধীন রয়েছে। এর থেকে প্রায় ৩ – ৪ লক্ষ নাম সম্পূর্ণ জাল বলেও মনে করা হচ্ছে। কারোর নাম দুই জায়গায় রয়েছে তো কেউ আবার রেশন তুলতেই আসেন না কয়েক মাস। তাই এই ধরণের কার্ড বাতিল করার হবে। বদলে যারা যোগ্যতা তাদের যুক্ত করা হবে।
বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার
আসলে দীর্ঘদিন ঘরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেশনের দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তাই E-KYC এর মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন ও রেশন কার্ডের বৈধতা যাচাই শুরু হয়েছে সর্বত্র। অতীতে একাধিকবার ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে নতুন করে ৩১ মে এর ডেডলাইন ঘোষণা করা হয়েছে। এই দিনের মধ্যেই ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ৩ মাসের রেশন মজুত করতে গিয়ে বড় বিপদ, কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে রাজ্যের সাহায্য প্রার্থনা ডিলারদের
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ২.৯০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়। যার মধ্যে চালের পরিমাণ ১.৭৪ লক্ষ টন ও গমের পরিমাণ ১.১৬ লক্ষ টন। তবে এবার কেন্দ্রের কাছে চালের কোটা কমিয়ে গমের কোটা বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে।