পার্থ মান্নাঃ দেশের দরিদ্র মানুষদের অন্ন সংস্থানের জন্য বদ্ধপরিকর কেন্দ্র তথা রাজ্য সরকার। সেই কারণেই রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিমাসের বিনামূল্যে চাল, গমের মত খাদ্য শস্য প্রদান করা হয়। তবে রেশন নিয়ে একাধিক জালিয়াতির খবর পাওয়া গিয়েছে এবহুবার। তাই ভুয়ো রেশন কার্ড রুখতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দফতরের তরফ থেকে।
ভুয়ো রেশন কার্ড রুখতে নতুন পদক্ষেপ!
দীর্ঘদিন ধরেন রেশন কার্ডের দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছে। এবার সেই সমস্ত দুর্নীতি রুখতে নতুন পদক্ষেপ নিল খাদ্য দফতর। এখন থেকে নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে গেলে আধার কার্ড জমা করতে হবে। না হলে নতুন রেশন কার্ডের রেজিস্ট্রেশনই হবে না। সম্পত্তি খাদ্য দফতরে একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিয়ম না মানলে মিলবে না রেশন
অবশ্য সমস্ত রেশন কার্ডের জন্য এই নিয়ম চালু হয়নি। কারণ জন্মের পরেই সকলের আধার কার্ড করানো হয়ে ওঠে না। তাই ১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের নতুন রেশন কার্ড তৈরির সময় আধার কার্ড না দিলেও চলবে। কিন্তু শিশুর বয়স ৫ বছর পেরোলেই আধার কার্ড জমা দিতে হবে। না হলে সেই কার্ডে কোনো খাদ্য শস্য পাওয়া যাবে না।
বিগত কয়েক বছরে রেশন ও আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক করায় ধীরে ধীরে বহু ভয় রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের তরফ থেকে একাধিক বার এমনটা জানা গিয়েছে যে অনুপ্রবেশকারীদের রেশনকার্ড দেওয়া হয়েছে ও ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরী করা হয়েছে। তবে জালিয়াতি আটকানোর জন্য এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
প্রসঙ্গত, রেশন কার্ড তৈরী বা রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে একাধিক পদ্ধক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আধার লিঙ্ক না থাকলে সেই কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। তো কখনো আবার দেখা যাচ্ছে একই ব্যক্তি বিভিন্ন ঠিকানা দিয়ে একাধিক রেশন কার্ড ব্যবহার করছেন। আধার লিঙ্ক হওয়ার ফলে সেটা ধরা পড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া কোন মাসে কত কেজি রেশন পাওয়া যাবে সেটা আগে থেকেই মেসেজের মাধ্যমে গ্রাহকদের মোবাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।