পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ অবশেষে কাটল হাওড়া পুরসভার নির্বাচন নিয়ে জটিলতা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্প্রতি ‘হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল ২০২১’ এ স্বাক্ষর করেছেন। এতে ১২ বছরের অপেক্ষার অবসান হল। ২০১৩ সালে শেষবার হাওড়ায় পুরভোট হয়েছিল। এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত। এখন অপেক্ষা নবান্নের সবুজ সঙ্কেতের।
কি নিয়ে জটিলতা?
২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করে ওয়ার্ড সংখ্যা ৫০ থেকে ৬৬ করা হয়। পরে আবার বালিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জট। রাজ্যপাল যে বিলে সই করেছেন, সেখানে পুরনো ৫০টি ওয়ার্ডের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু নতুন ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে কোনো স্পষ্টতা নেই।
এই ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায়, ঠিক কতগুলো ওয়ার্ডে ভোট হবে-৫০ নাকি ৬৬-তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ফলে নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিন ঘোষণায় দেরি হচ্ছে। প্রশাসনের একাংশের মতে, যতদিন না এই ‘১৬-র জট’ কাটছে, ততদিন ভোটের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না।
কবে হবে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন?
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, হাওড়া পুরসভা ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু রাজ্য সরকারের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা। শুধু হাওড়া নয়, দুর্গাপুর ও পূজালি পুরসভাও নির্বাচনও আছে। তাই একইসঙ্গে সব পুরসভার বিষয় খতিয়ে দেখে ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি এখনও ভোটের নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করেননি। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জটিলতা মিটলেই দ্রুত ভোট ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুনঃ বদলে যাচ্ছে ব্যাঙ্কের নিয়ম, সপ্তাহে আর মাত্র ৫ দিন খুলবে ব্যাঙ্ক! কবে থেকে?
হাওড়া ও বালির বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া
ভোট না হওয়ার জেরে নির্বাচিত কাউন্সিলার নেই হাওড়া ও বালিতে, যার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পানীয় জল থেকে শুরু করে নিকাশি ব্যবস্থা এমনকি আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। তবে এবার রাজ্যপালের সম্মতি মেলায় শীঘ্রই পুর নির্বাচন হলে সমস্যার সমাধান হবে বলেই আশাবাদী হাওড়া ও বালির লোকেদের।