পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ প্রতিবছর যেমন তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে তেমনি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। চাল, ডাল থেকে শুরু করে জ্বালানি তেল, রান্নার গ্যাস (LPG Cylinder) ওষুধ এমনকি মোবাইল রিচার্জের খরচও বেড়েই চলেছে। সব মিলিয়ে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হায়েজ যাওয়ায় রীতিমত নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন মধ্যবিত্তের। তবে এবার আমজনতাকে কিছুটা স্বস্তি দিতে বড়সড় সুখবর দিতে চলেছে সরকার।
মধ্যবিত্তের জন্য বড় ঘোষণা সরকারের
এমনিতে গরিব তথা মধ্যবিত্তের জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এমনকি মধ্যবিত্তের ঘরে সস্তায় গ্যাসিলিন্ডার পৌঁছানোর জন্যও উজ্জ্বলা যোজনা চালু করা হয়েছে। আর এবার দীর্ঘদিন পর দিল্লি বিধানসভাতেও জয়লাভ করেছে বিজেপি। প্রায় ২৭ বছর পর দিল্লি দখল করল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন রেখা গুপ্তা, আর বসেই কোমর কষেছেন প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য।
নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া প্রশ্রুতি কিভাবে বাস্তবায়িত করা যায় তারজন্য বিভিন্ন আধিকারিকদের সাথে বৈঠকের আয়োজন করা হ য়েছিল। এরপরেই দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সমস্ত আধিকারিকদের থেকেই কাজের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আমরা জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পূরণের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
ফ্রি সিলিন্ডার পাবে আমজনতা
ভোটের প্রচারের সময় নির্নাচনি ইস্তেহারে বিজেপি জানিয়েছিল হোলি ও দীপাবলির সময় দিল্লিবাসীকে ফ্রি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ মন্ত্রী মনজিন্দ্র সিং সিরসা বৈঠক ও নির্দেশ দেওয়া শুরু করেছেন। অবশ্য এখানেই শেষ নয়, ফ্রি সিলিন্ডারের পাশাপাশি বাকি ১০টি সিলিন্ডারের জন্য ৫০০ টাকা দাম নেওয়া হবে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে ফাইনাল সিদ্ধান্ত আগামী দু-এক দিনের মধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ জেনারেল টিকিটে আর ওঠা যাবে না যেকোনো ট্রেনে! কোন নিয়ম আনছে রেল?
প্রসঙ্গত, একদিকে যেমন প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য জোর কদমে কাজ চলছে তেমনি বিরোধী পক্ষের কটাক্ষ থেকে সমালোচনার জবাব দিতেও পিছপা হননি নতুন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশির সমালোচনার উত্তরে রেখা জানান, ‘কংগ্রেস ও আপ দিল্লির জনতাকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিতকরেছিল। শুধু স্লোগান দিয়েছে কাজ করেনি। এদিকে বিজেপি সরকার প্রথম দিনেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প অনুমোদন করেছে। তাছাড়া ১১,০০০ ইলেকট্রিক বাস চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। যেগুলো শীঘ্রই চালু করা হবে গোটা দিল্লি শহরে’। এর ফলে শহরের দূষণের মাত্রায় কিছুটা হলেও লাগাম টানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।