পার্থ মান্নাঃ কালীপূজা তথা দীপাবলির আগেই বড় ঘোষণা এল কলকাতা পৌরসভার তরফ থেকে। জনস্বার্থে সর্বত্রই প্রচার চলে তামাক ও গুটখাজাত দ্রব্য সেবন করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তবুও অনেকেই এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন আর ছাড়তে পারছেন না। তাই সাধারণ মানুষের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে বাংলায় গুটখা থেকে পানমসলা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
বাংলায় গুটখা পানমশলার উপর নিষেধজ্ঞা জারি
তামাক থেকে শুরু করে নিকোটিন জাতীয় দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই উপকারি নয় বরং এর দীর্ঘ ব্যবহার শরীরের ব্যাপক ক্ষতি করে। তাছাড়া তামাক জাত দ্রব্যই ক্যান্সারের প্রধান কারণ। তাই ৭ই নভেম্বর থেকে আগামী ১ বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি, বন্টন থেকে শুরু করে মজুতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই নির্দেশিকার অর্থ হল গুটখা হোক বা পানমশলা এই ধরণের দ্রব্যের বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তাছাড়া এর বিক্রি এমনকি মজুদ করে রাখা বা তৈরী করাও নিষিদ্ধ আগামী এক বছরের জন্য। এর ফলে একদিকে যেমন মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে তেমনি আশেপাশের পরিবেশের পরিষ্কার পরিচন্নতাও বাড়বে। কারণ গুটখাজাত দ্রব্য সেবনের পর পিক যত্রতত্র ফেলার ফলে একদিকে যেমন নোংরা হয় তেমনি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশও তৈরী হয়।
তবে মুশকিল হল রাজ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ যেমন একদিকে গুটখা দ্রব্যে আসক্ত হয়ে রয়েছেন তেমনি অনেকেই এই শিল্পের সাথে যুক্ত। প্রতিটা অলিগলিতে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদিখানার দোকানে গুটখা থেকে পান্মশলা রমরমিয়ে বিক্রি হত। এর ফলে একটা বড় অঙ্কের ব্যবসাও হত। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ব্যবসার ব্যাপক অতি হবে, পাশাপাশি অনেকের কাজ হারানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আগেও গুটখার ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে প্রচার করে মানুষকে সচেতন করার বহু চেষ্টা করা হয়েছে। তবে যারা এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা কিছুতেই নেশা ছাড়তে রাজি নন। তাই এই নির্দেশ বাস্তবে কতটা কার্যকর হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।