Papiya Paul

লোন দেবে সরকার, বাড়িতে বসেই শুরু করুন এই ব্যবসা, মাসে মাসে কামাবেন মুঠো মুঠো টাকা

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বহু মানুষ এখন চাকরির জন্য হন্য হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু চাকরি জোটাতে পারছেন না তারা। আর তাই অর্থ উপার্জনের জন্য বেশিরভাগ মানুষ এই ব্যবসার(Business) দিকে ঝুঁকেছেন। বিভিন্ন ধরনের স্টার্টআপ ব্যবসা করতে পছন্দ করছেন তারা। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে এমনই এক ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকের এই প্রতিবেদনে লাভজনক ব্যবসা(Business Tips) সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।

   

দেশে ন্যাপকিন পেপার অর্থাৎ টিস্যু পেপারের(Tissue Paper) চাহিদা খুব বেশি। আর যেহেতু এটি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয় তাই লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও কম। আপনি চাইলে ন্যাপকিন পেপারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দেশের প্রতিটি শহরে ন্যাপকিন ব্যবহারের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে এই পেপার লাগে। আবার হোটেল-রেস্তোরাঁ এমনকি রাস্তার ধারের খাবারের দোকান গুলোতে এখন টিস্যু পেপার ব্যবহার করা হয়। যত দিন যাচ্ছে এ পেপারের চাহিদা তত বাড়ছে।

খুব কম খরচে এই ব্যবসা করে বেশ ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে এই ব্যবসা শুরুর আগে বেশ কিছু জিনিস জেনে রাখা প্রয়োজন। ঠিক যেমন এই পেপার তৈরি করার জন্য লাগবে টিস্যু পেপার মেশিন। এই মেশিনের দাম শুরু হয় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা থেকে। আর ন্যাপকিন তৈরি করার জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন লাগে। এ ধরনের মেশিনের সাহায্যে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি আকারের টিস্যু পেপার তৈরী করতে পারবেন আপনি।

এই মেশিনে প্রত্যেক ঘন্টায় ১০০ থেকে ৫০০ টি টিস্যু পেপার তৈরি করা যায়। তবে আপনি চাইলে শ্রমিক ছাড়া পূরণ করতে পারেন যদিও সেই মেশিনের দাম প্রায় ১০ থেকে ১১ লক্ষ টাকা। আপনার কাছে এত পরিমান অর্থ না থাকলে সে ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বছরে প্রায় দেড় লক্ষ কিলোগ্রাম টিস্যু পেপার উৎপাদন করতে পারবেন।

Money Business

এখন বাজারে একটু কম দামে ১ কেজি টিস্যু পেপারের দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আরেকটু ভালো মানের টিস্যু পেপার হলে তার এক কেজির দাম বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। এইভাবে চাইলে আপনার টিস্যু পেপার তৈরির ব্যবসা আর বার্ষিক টার্নওভার প্রায় এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।