শ্রী ভট্টচার্য, কলকাতা: সোমবার নবান্ন থেকে লালবাজারে নিয়োগের জন্য একটি ছাড়পত্র পাঠানো হয়েছে। যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুসারে চলে, তাহলে নতুন আর্থিক বছরের শুরুতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল কলকাতা পুলিশে বাহিনীকে শক্তিশালী করা এবং জনবল বৃদ্ধি করা। জানা গিয়েছে, ৫০০ জন নতুন হোমগার্ড নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে কলকাতা পুলিশ।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) এবং সার্জেন্টের মতো নিয়মিত পদের জন্য নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত ছিল। এই বিলম্বের ফলে কর্মী নিয়োগের সমস্যা দেখা দেয়, বিশেষ করে গোয়েন্দা বিভাগে, এবং ট্রাফিক এবং থানাগুলিতে এর প্রভাব পড়ে। তবে, ২০২৩-২৪ সালে, কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল, এসআই এবং সার্জেন্ট পদে নিয়োগের অনুমোদন পেয়েছিল। এখন, বাহিনীর তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণের জন্য ৫০০ জন নতুন হোমগার্ড নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের জন্য সুখবর
৫০০ জন নতুন হোমগার্ডের মধ্যে, ১০ শতাংশ পদ বর্তমানে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের সাথে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এর অর্থ হল ৪৫০ হোমগার্ড পদ নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের দ্বারা পূরণ করা হবে, বাকি ৫০টি পদ যোগ্য সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের দেওয়া হবে। এটি রাজ্য জুড়ে বিদ্যমান সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের হোমগার্ড বাহিনীতে যোগদানের জন্য সুযোগ করে দেবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে হবে?
কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকি করার জন্য একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করবেন।প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, প্রার্থীদের ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। নতুন আবেদনকারী এবং সিভিক ভলান্টিয়ার্স উভয়কেই পরীক্ষা দিতে হবে। কমিটি লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম পাস নম্বর নির্ধারণ করবে। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তাঁদের কলকাতা পুলিশে হোমগার্ড হিসেবে নিয়োগের আগে ট্রেনিং নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সহিংসতার পর অতিরিক্ত হোমগার্ডের প্রয়োজন দেখা দেয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, কলকাতা পুলিশের এলাকা ৩২৪ বর্গকিলোমিটার থেকে ৫৩০ বর্গকিলোমিটারে উন্নীত হয়, যা আরও বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়। উপরন্তু, নরেন্দ্রপুর থানা ভেঙে আরও দু’টি নতুন থানা কলকাতা পুলিশে যুক্ত করার সম্ভাবনা প্রবল। এই পরিবর্তনগুলি পুলিশ কর্মীদের চাহিদা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে ৫০০ জন নতুন হোমগার্ড নিয়োগ প্রয়োজন হবে।