উইকিপিডিয়ার হিসেবে বয়স প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই। যদিও তাকে দেখে সেটা বোঝা অসম্ভব। বলিউডের সবচেয়ে ফিট তারকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তিনি। নাচ থেকে স্টান্ট দৃশ্য সবেতেই তিনি সেরা। সর্বোপরি হৃতিক মানেই অভিনয়, নাচ, স্টান্ট সবে মিলিয়ে একটা কম্প্যাক্ট প্যাকেজ। তবে সম্প্রতি তার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা দেখা দিয়েছে ভক্তমহলে।
আসলে দিনকয়েক আগেই মুম্বইয়ের একটি খ্যাতনামা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারের সামনেই হৃতিককে ক্যামেরাবন্দি করে পাপারাজ্জিদের দল। আর তারপর থেকেই গুঞ্জন উঠেছে, খুব সম্ভবত কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বি টাউনের গ্রিক গড।
আসলে ছবির প্রয়োজনে স্টান্ট দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় তাকে। অনেক সময় গুরুতর চোট-ও পেয়েছেন। বিশেষ করে ‘ব্যাং ব্যাং’ ছবির শুটিংয়ের সময়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। এবারও কি সেরকমই কোনোকিছু ঘটেছে হৃতিকের সাথে? এমন হাজার প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে ভক্তদের মনে।
গতবারের চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল অভিনেতার। শেষমেষ অস্ত্রপচারের দ্বারস্থ হতে হয় চিকিৎসকদেরকে। আর এবার হৃতিককে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারের সামনে দেখে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে সবাই। নায়কের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন তার অনুরাগীরা।
শুধু কি শারীরিক সমস্যা, এছাড়া মানসিক অবসাদ নিয়েও ভালোই জেরবার হয়ে রয়েছেন হৃতিক। এর আগে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে অবসাদগ্রস্ততা নিয়েও খোলামেলা কথা বলতে শোনা গিয়েছিল হৃতিককে। ‘ওয়ার’ ছবির শুটিংয়ের সময় কতটা ডিপ্রেশড হয়ে ছিলেন সেকথাও জানিয়েছেন অভিনেতা।
অভিনেতার কথায়, এই ছবিটার জন্য মোটেও তৈরি ছিলেননা তিনি। তারজন্য একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ ছিল ‘ওয়ার’। সেই কারণেই শুটিং শেষ হওয়ার পর তিন চার মাস কোনো ট্রেনিংই করতে পারেননি হৃতিক। আর তখনই বুঝেছিলেন যে, এবারে জীবনে একটা ভালো পরিবর্তন দরকার। তবে সম্প্রতি তাকে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারের সামনে কেন দেখা গিয়েছে সেটা তো সময়ই বলবে।