পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ গত ৩রা মার্চ থেকে রাজ্য জুড়ে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১৮ই মার্চ পরীক্ষা শেষ হলেই শুরু হবে খাতা দেখার পক্রিয়া। অবশ্য দ্রুত ফলপ্রকাশের জন্য যে বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে সেগুলোর খাতা দেখা হয়তো ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষকেরাই এই খাতা দেখেন, তবে এবারে সেই নিয়মের কিছুটা বদল হয়েছে।
পার্শ্ব শিক্ষকেরাই দেখছে উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্র
জানা যাচ্ছে, স্থায়ী শিক্ষকের অভাবের কারণে পার্শ্ব শিক্ষক বা আংশিক শিক্ষকদের দিয়েই করা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন। একথা স্বীকারও করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদৌ সঠিভাবে মূল্যায়ন হবে তো?
কি বলছেন শিক্ষকেরা?
খাতা দেখার ব্যাপারে শিক্ষকদের সাথে সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে জানা যায়, বর্তমানে শিক্ষকদের সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই বাধ্য হয়েই এই পথে হাটতে হচ্ছে। নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করতে গেলেই মামলা হচ্ছে, যার ফরুন নিয়োগ আটকে যাচ্ছে। এর ফলেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে ও শিক্ষকদের বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে। তাছাড়া সমস্ত খাতা পার্শ্ব শিক্ষকেরা দেখছেন না, উচ্চমাধ্যমিকে ডেটা সায়েন্স থেকে AI এর মত বেশ কিছু সাবজেক্ট চলি করা হয়েছে। এগুলোর জন্য আলাদা করে কোনো শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। সেগুলোই দেখছেন পার্শ্বশিক্ষকেরা।যদিও একেত্রে সঠিক মূল্যায়ন হবে কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আংশিক শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন
তবে শিক্ষকমহলের আরেকাংশ অন্য কথা বলছে। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস এর রাজ্য সম্পাদকের মতে, বাংলায় যদি শিক্ষক নিয়োগ ঠিকমত হত তাহলে এই সমস্যা হত না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন যথাযতন না হলে নানা ধরণের প্রশ্ন উঠবে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যার কথা মাথায় রেখে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে আংশিক সময়ের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই স্কুলে সেই সমস্ত নিয়ম মানা হচ্ছে না। তাই আংশিক সময়ের জন্য যে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে তাদের জগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ১০০, ২০০ টাকার নতুন নোট হাজির! পুরনো সব বাতিল করবে RBI?
প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের মতে, খাতা দেখার শিক্ষকের অভাব রয়েছে নতুন সাবজেক্টগুলিতেই। মাধ্যমিক স্তরের যে শিক্ষকেরা উচ্চমাধ্যিকের খাতা দেখছেন তাদের সেই যোগ্যতা আছে। দীর্ঘদিন ধরেই তারা শিক্ষকতা করে আসছেন। AI ও ডেটা সায়েন্সের মত বিষয়গুলির জন্য শিক্ষক নিয়োগ হয়নি তাই আংশিক শিক্ষকেরা খাতা দেখছেন। শিক্ষক নিয়োগ হয়ে গেলেই আর সেটা হবে না।