নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি সিরিয়াল হলো জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Iccheputul)। এই ধারাবাহিকের নায়িকা মেঘ (Megh) এখন দর্শকদের নয়নের মণি। অথচ একটা সময় এই মেঘই তার দিদি ময়ূরীর সব অন্যায় চুপচাপ সহ্য করে নেওয়ায় দর্শকদের কাছে ‘ন্যাকা মেঘ’-এর তকমা পেয়েছিল। কিন্তু বারবার অপমানিত হতে হতে একসময় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল মেঘের।
তাই সেই মুখচোরা মেঘই এখন দারুন প্রতিবাদী। আর মেঘের এই চারিত্রিক দৃঢ়তাই দারুন পছন্দ দর্শকদের। দর্শকরা জানেন মেঘ গিনিকে রূপের হাত থেকে বাঁচিয়ে আনার পর ময়ূরীর আসল মুখোশ খসে পড়তেই গোটা গাঙ্গুলী পরিবার সহ নীল এমনকি তাঁর মা ডক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলি একেবারে ধন্য ধন্য করছেন মেঘকে। অথচ কদিন আগেও তিনি মেঘকে নীলের জীবন থেকে উপড়ে ফেলে দিতে একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।
সেই তিনিই এদিন মেঘকে বরণ করে ঘরে তুলবেন বলে অপেক্ষা করে দাঁড়িয়েছিলেন। আর এতেই আরও একবার মেজাজ হারায় মেঘ। তাই গত পর্বেই দেখা গিয়েছে এতদিন ধরে নিজের সাথে ঘটে চলা সমস্ত অপমানের জবাবে একেবারে ঝামা ঘষে দিয়েছে মেঘ। এদিন নীলের মা যখন মেঘকে বরণ করতে এগিয়ে এসেছিলেন তখন মেঘ হাত দিয়ে বরণের ডালা সরিয়ে দিয়ে একে একে তার সাথে হওয়া সমস্ত অন্যায়ের যোগ্য জবাব দেয়।
মেঘ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় নীলের পরিবারের তরফ থেকে নেওয়া এত দিনের যোগ্যতার পরীক্ষায় সে হয়তো এখন পাস করতে পেরেছে। কিন্তু এই পরিবার আদৌ তার যোগ্য কিনা সেকথা কি কেউ ভেবে দেখেছেন? ক্ষোভে ফেটে পড়ে মেঘ বলে এতদিন ধরে তাকে যে অপমান করা হয়েছে সেটা কোন ভুল নয় সেটা অপরাধ। তাছাড়া মেঘ বলে ডক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলী আজ হঠাৎ করে বলছেন তিনি একটা ঘোরের মধ্যে ছিলেন।
কিন্তু এটা কি করে সম্ভব? ময়ূরী কি তাদের ওপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছিল? যে তাদের বুদ্ধি ভ্রষ্ট হয়েছিল? তারা তো ইচ্ছাকৃতভাবেই তাকে অপমান করেছে। এছাড়াও মেঘ এদিন বলে যদি রূপ তার আসল চেহারাটা গিনির সাথে বিয়ের পরপর না দেখিয়ে আরো দু-তিন বছর পরে দেখাতো? তাহলে তো এতদিন নীলের সাথে ময়ূরীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা। তাই মেঘে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তার সাথে হওয়া এত দিনের অপমান সে কিছুতেই এত সহজে ভুলে যেতে পারবে না।
সেটা যদি তারা মনে করে তাহলে তার জন্য এক্ষুনি হিন্দি সিনেমার মতো একটা বড়সড়ো অ্যাক্সিডেন্ট হতে হবে তার। যার ফলে সে তার সমস্ত স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলবে। এখানেই থেমে থাকে নি মেঘ। এদিন মেঘ আরো জানায় তার বাপির শিক্ষা এত ঠুনকো নয় যে সে তার আত্মমর্যাদা ভুলে এই বাড়িতে এসে আবার আগের মতো সবটা মানিয়ে নিয়ে চলতে থাকবে। এইভাবেই শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেক সদস্যের মুখের উপর উপযুক্ত জবাব দিয়ে বেরিয়ে আসে মেঘ।
এদিন মেঘের এই চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখে প্রশংসার ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শকরা। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একজন অনুরাগী মেঘের প্রশংসায় লিখেছেন ‘মেঘ চরিত্র টা এখানেই সবার থেকে আলাদা। অন্য নায়িকা রা হাজার অপমান করার পরেও মহান সেজে শ্বশুর বাড়ি ফেরত চলে যায়, কিন্তু মেঘ ফেরা তো দূর, তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও আচ্ছা করে ধুয়ে দিল তার মুখোশ পড়া শ্বশুর বাড়ি আর এক্স বর কে।’