Papiya Paul

ট্রেকিং থেকে বন্য পশু-পাখি, কলকাতার এই কাছের জঙ্গলে একবার ঘুরে আসুন, ফিরতে চাইবেন না

নিউজশর্ট ডেস্কঃ ট্রেকিংয়ের খুব শখ? অথচ কলকাতার(Kolkata) কাছাকাছি ট্রেকিংয়ের সুযোগ পাচ্ছেননা? তবে আমরা নিয়ে এসেছি এমনই এক জায়গার খোঁজ। কলকাতা থেকে মাত্র ২০০ কিঃমিঃ দূরেই রয়েছে এমন এক জায়গার সন্ধান। তার সাথে ময়ূর দেখার এবং রয়েছে রাজবাড়ির বিলাস উপভোগের সুযোগ।

   

বেলপাহাড়ি(Belpahari) থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে গাড়রাসিনি পাহাড়(Gadrasini Hill)। শীতের ছুটিতে বেলপাহাড়ী তো অনেকেই ঘুরতে আসেন। তবে এবার পুজোর ছুটিতে গাড়রাসিনি পাহাড়টাও ঘুরে গেলেন। ঘুরতে এসে ছোট্ট একটা ট্রেকিং হলে মন্দ কী! গাড়রাসিনি পাহাড় আর তার কোলে শাল গাছের ঘন জঙ্গল।

গাড়রাসিনি পাহাড়ের উপরে চড়লে দেখতে পাবেন বেলপাহাড়ির পাহাড়ের ঢেউ খেলানো ও শাল জঙ্গলের এক অপরূপ দৃশ্য। আর এই দৃশ্য যে কোনো ভ্রমণপিপাসুর মন জয় করতে বাধ্য। আর পর্যটকদের কথা ভেবেই এখানে গড়ে উঠেছে একাধিক হোম স্টে। যেখানে দু চারদিন আরামসে কেটে যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখানে পাহাড়ি সৌন্দর্যের পাশাপাশি দেখতে পাবেন ময়ূর।

ট্রেকিংয়ের নিয়ম : যেহেতু চড়া রৌদ্রে পাহাড়ে চড়া খুবই সমস্যার। এবং বিকেল ৪ টের পথ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে ওঠার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই আগের দিন গন্তব্যে পৌঁছে হোমস্টেতে রাতটা কাটিয়ে সকাল সকাল ট্রেকিংয়ে বেরিয়ে পড়তে পারবেন। এরপর রাতে ফিরে আদিবাসি নাচ দেখতে দেখতে দেশি মুরগির ঝোল দিয়ে ডিনার সারতেও মন্দ লাগবেনা।

থাকার ব্যবস্থা : গাড়রাসিনি গ্রামে পাহাড়ের কোলে অবস্থিত আগইবিল গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল সিং নিজের বাড়িতেই একটি রুম নিয়ে হোমস্টে তৈরি করে। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে পাকাবাড়ির পাশাপাশি বেশকিছু মাটির বাড়িও তৈরি করেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন পবিত্রা হোমস্টে।

বর্তমানে পবিত্রতার পাশাপাশি লিসা হোমস্টে ও উত্তরা হোমস্টে চালু হয়েছে । এই প্রসঙ্গে মঙ্গল সিং বলেন, “পর্যটকেরা এখানে রাতে সকাল সকাল মর্নিং ওয়ার্কের মত পাহাড়ে ট্রেকিং করতে খুবই ভালোবাসে । পাশাপাশি জঙ্গলের ময়ূরও এখানকার বিশেষ আকর্ষণ।”

কিভাবে পৌঁছবেন কলকাতা থেকে গাড়রাসিনি : হাওড়া থেকে ট্রেনে সোজা ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন। সেখান থেকে ট্যাক্সি করে সোজা বেলপাহাড়ি। সেখান থেকে হদরার মোড়ের বাঁ দিকের পিচ রাস্তা ধরে থেকে ৬ কিলোমিটার দূরেই গাড়রাসিনি পাহাড়।