নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভ্রমণপিপাসুদের কাজই হলো সময় সুযোগ বুঝে পোঁটলা পুঁটুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়া। অবশ্য মানুষের কর্ম ব্যাস্ত জীবনে ভ্রমণ(Travel) একমাত্র উপযোগী বিনোদন। তাই সময় পেলেই মাথার চাপ কমানোর জন্য ভ্রমণে বেরিয়ে পড়া উচিতও বটে। আর এই কারণেই বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র(Tourist Spot)। এরমধ্যে ভারতে এমন বহু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যেখানে প্রতি বছর দেশ বিদেশের লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমায়।
এবার এই ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যেই বিভিন্ন রকম ভাগ আছে। কেউ কেউ গতানুগতিক ধারায় দীঘা, পুরি, দার্জিলিং গিয়েই খুশি। আবার কেউ কেউ সম্পূর্ণ নতুন জায়গা, নতুন মানুষ এবং নতুন রীতিনীতি খুঁজতে বেশি ভালোবাসেন। আজকের প্রতিবেদনে এমনই একটা জায়গার সাথে পরিচয় করাবো যার কথা হয়তো খুব কম মানুষই জানেন। কিন্তু শহুরে ব্যস্ততা থেকে দূরে থাকার জন্য একেবারে আদর্শের জায়গা।
সাগর, মহাসাগরের বন্ধন খুঁজতে আজ আমাদের গন্তব্য বাঁকিপুট(Bankiput Sea Beach)। পুজো পার্বণ সবকিছুই তো পেরোলো, এবার যেন একটু সমুদ্রের নীল জলরাশিতে পা না ডোবালেই চলছে না। তবে মোটেও তা দীঘা বা পুরী নয়, বরং আজ ঘুরে আসি আমাদের পাশের জেলা মেদিনীপুরে্ থেকে।
লোকজনের ভিড়, হইহট্টোগল থেকে দূরে একটু নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা এই বাঁকিপুট। খোলা আকাশের নীচে লাল কাঁকড়াদের সঙ্গে নিয়ে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগবে। হয়তো কখনো সখনো চোখে পড়তে পারে দূরে নৌকো নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া, কোনো মৎস্যজীবী।
এখানে সমুদ্র দেখা ছাড়াও আপনি ঘুরে আসতে পারেন বগুড়ান জলপাই গ্রাম থেকে। দরিয়াপুরের ৯৬ ফুট উঁচু বাতিঘর এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। বিস্তৃত সমুদ্রের জলরাশির অসাধারণ ভিউ পয়েন্ট দেখতে পাবেন এখান থেকে। তাছাড়া রয়েছে রসুলপুর নদী আর বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থল। তবে বাঁকিপুটের মূল আকর্ষণ হল কপালকুণ্ডলার মন্দির।
চুপিচুপি জানিয়ে রাখি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর কিংবদন্তি উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’-র গল্প এর স্লট এখান থেকেই পেয়েছিলেন। এমতাবস্থায় প্রশ্ন আসতে পারে, এই গন্তব্যে পৌঁছাবেন কীভাবে? বলে রাখি বাঁকিপুটে যাওয়ার জন্য যে কোনো দীঘাগামী ট্রেনে চেপে কাঁথিতে নেমে পড়বেন। সেখান থেকে মাত্র ১৬ কিঃমিঃ দূরেই বাঁকিপুট।