পায়ের ধুলো পড়েছে সুভাষ চন্দ্র বসুর, আজ অবহেলায় পড়ে ভারতের শেষ রেলস্টেশন

India Last Railway Station

পায়ের ধুলো পড়েছে সুভাষ চন্দ্র বসুর, আজ অবহেলায় পড়ে ভারতের শেষ রেলস্টেশন

Shree Bhattacharjee

Published on:

শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: যাত্রীর অপেক্ষায় দিন গোনে এই স্টেশন, যাত্রী আর আসে না (India Last Railway Station)। ভোঁ করে প্ল্যাটফর্মের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় ট্রেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী এই রেলওয়ে স্টেশন আজও মহাত্মা গান্ধী, সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি আঁকড়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। এমনিতেই ভারতীয় রেলপথ ভারতীয় পরিবহন, সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মেরুদণ্ড। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলকে সংযুক্ত করতে, বাণিজ্য সহজতর করতে এবং বিভিন্ন শিল্পকে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারতীয় রেলওয়ে।

জানেন তো, ভারতে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে। প্রতিদিন ১৩,০০০ এরও বেশি ট্রেন চালানো হয়। ২৫ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করে। আবার এই ট্রেনগুলি ৭,০০০ এরও বেশি রেলস্টেশনের মধ্য দিয়ে যায়। ৬৮,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে। কিন্তু আপনি কি জানেন দেশের শেষ রেলস্টেশন কোথায় অবস্থিত?

আরও পড়ুন: মদ্যপান করে ট্রেনে চালান বাংলার লোকো পাইলটরা, রিপোর্টে ভয়ানক তথ্য

ভারতের শেষ রেলস্টেশন কোথায় অবস্থিত?

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত সিংহাবাদকে ভারতের শেষ রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে মনে করা হয়। এই স্টেশনটি সেই স্থানটিকে চিহ্নিত করে যেখানে ভারতীয় সীমান্ত শেষ হয় এবং বাংলাদেশ সীমান্ত শুরু হয়। আপনাদের জানিয়ে রাখি, সিংহাবাদ রেলওয়ে স্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার হাবিবপুর এলাকায় অবস্থিত।

সিংহাবাদ স্টেশন সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য

  1. সিংহাবাদ রেলওয়ে স্টেশন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত।
  2. প্ল্যাটফর্ম, সাইনবোর্ড এবং রেলওয়ে কর্মী রয়েছে, কিন্তু এই স্টেশনে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন থামে না।
  3. এমনকি স্টেশনে একটি বোর্ডও আছে যাতে লেখা আছে – “India Last Railway Station।”
  4. এই স্টেশনটি একসময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত হত।
  5. ব্রিটিশ শাসনামলে, এখান থেকে ঢাকায় ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।
  6. মহাত্মা গান্ধী এবং সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো নেতারাও এই স্টেশন থেকে ভ্রমণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে সিংহাবাদের কার্যকারিতা বিকশিত হয়। ১৯৭৮ সালে, সিংহাবাদ থেকে মালবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উপরন্তু, ২০১১ সালের একটি সংশোধনীতে নেপালে আসা ট্রানজিট ট্রেনগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এর ভূমিকা সম্প্রসারিত করা হয়। পণ্য পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে সিংহাবাদ এখন গুরুত্বপূর্ণ।

সঙ্গে থাকুন ➥