শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে (India-Pakistan Conflict)। এখন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে চায়ের দোকান পর্যন্ত যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে, এমনকি মানুষ পারমাণবিক হামলার আশঙ্কাও প্রকাশ করছে। পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার হুমকির পর, মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করছে যে পাকিস্তান যদি আক্রমণ করে, তাহলে ভারত কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? একই সাথে, মানুষ ভারতের কঠোর প্রতিশোধমূলক নীতি সম্পর্কেও কথা বলছে।
পাকিস্তানের এই ১০টি শহর ভারতের লক্ষ্যবস্তু
বলে রাখি যে পাকিস্তান যদি আমাদের উপর পারমাণবিক হামলা চালানোর ভুল করে, তাহলে ভারত লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদ, ফয়সালাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, হায়দ্রাবাদ, গুজরানওয়ালা, মুলতান, পেশোয়ার এবং কোয়েটার মতো বড় শহরগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাহলে কেবল শহরগুলি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে না, বরং উভয় দেশকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য তেজস্ক্রিয়তা, দুর্ভিক্ষ, রোগ এবং সামাজিক নৈরাজ্যের মতো ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতের কাছে ১৭২টি এবং পাকিস্তানের কাছে ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। যুদ্ধের ক্ষেত্রে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর জন্য এটিই যথেষ্ট। আবার, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধ হলে পাকিস্তান ভারতের মুম্বাই, দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর মতো বড় শহরগুলিতে আক্রমণ করতে পারে। কারণ এগুলো অর্থনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর এই ভয়াবহ রাস্তা ১০ লক্ষ মানুষের মৃতদেহের উপর তৈরি! পুরো গল্প জানলে অবাক হবেন আপনিও
পারমাণবিক হামলার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে থাকবে
হিরোশিমা এবং নাগাসাকির উদাহরণ থেকে স্পষ্ট যে পারমাণবিক আক্রমণ কেবল তাৎক্ষণিকভাবে জীবন কেড়ে নেয় না, বরং এর বিকিরণের প্রভাব বহু প্রজন্ম ধরে রোগ এবং অক্ষমতার আকারে থেকে যায়। যেহেতু উভয় দেশেরই শক্তি অঢেল, তাই যুদ্ধের পথ উভয়ের জন্যই বিপর্যয়কর হতে পারে। অতএব, সংলাপ এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখাই হবে সর্বোত্তম এবং সেরা বিকল্প।