শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে, ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তার অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে (India-Pakistan Tension)। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশের সমস্ত প্রচেষ্টা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশেই ব্যর্থ করে দেয়। এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে ভারতের নিরাপত্তা এখন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং উচ্চ প্রযুক্তির হাতে।
আর এখন এই শক্তিশালী সংযোগে আরও একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি যুক্ত হতে চলেছে। রাশিয়া ভারতকে তার সর্বশেষ এবং সবচেয়ে আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা S-500 ভাগ করে নেওয়ার এবং যৌথভাবে উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে। এর অর্থ হল ভারত কেবল নতুন প্রযুক্তিই পাবে না, বরং এটি স্বনির্ভর ভারতের দিকে একটি বড় পদক্ষেপও হবে।
S-500 কী?
বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হিসেবে রাশিয়া S-500 তৈরি করেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এটি একটি মহাকাশ-সক্ষম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার অর্থ এটি কেবল স্থলেই নয়, মহাকাশেও শত্রুর পরিকল্পনা ধ্বংস করতে পারে। এতে মাল্টি-লেয়ার সুরক্ষা এবং মাল্টি-টার্গেট ট্র্যাকিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অর্থাৎ, এই সিস্টেমটি একই সাথে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, হাইপারসনিক অস্ত্র এমনকি শত্রুর গুপ্তচর উপগ্রহকেও লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
S-400 বনাম S-500: কোনটি বেশি প্রাণঘাতী?
ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার S-400 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা শত্রুদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু S-500 এর চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।
বিশেষত্ব | এস-৪০০ | এস-৫০০ |
পরিসর | ৪০০ কিমি | ৬০০ কিমি |
লক্ষ্যবস্তু | যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্রুজ/ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | উপরে + হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র + উপগ্রহ |
গতি বাধা | MAC 14 পর্যন্ত | ম্যাক ২০ পর্যন্ত |
মাল্টিটার্গেট | সীমিত | একসাথে ১০টি লক্ষ্যবস্তু |
আরও পড়ুন: ভারতের চাপে নতজানু পাকিস্তান, ২৩ দিনের মাথায় দেশে ফিরছেন BSF জওয়ান পূর্নম সাউ
তার মানে এটা স্পষ্ট। এস-৫০০ কেবল বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেই নয়, মহাকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।