শ্রীজিতা ঘোষ, কলকাতা: প্রতি দশ বছর অন্তর ভারতের জাতীয় জনগণনা অনুষ্ঠিত হয়। এই রীতির অংশ হিসেবে ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও করোনা (Corona) মহামারীর কারণে তা স্থগিত রাখা হয়। চার বছর অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। এবার প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে (Digital Census 2026) দুই ধাপে দেশের জনগণনা করা হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, দেশের (India) প্রতিটি রাজ্য, জেলা, শহর এবং গ্রামে নিখুঁত তথ্য সংগ্রহ ও সঠিক মানচিত্র তৈরি করতে ডিজিটাল সমীক্ষায় ভরসা করা হবে। প্রায় ৬ লক্ষ ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি হবে, যেখানে প্রতিটি বাড়ির অবস্থান জিও-ট্যাগের মাধ্যমে সঠিকভাবে নথিভুক্ত থাকবে।
কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ
এই প্রকল্পে প্রায় ৩৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগের (Employment) পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের মাসিক পারিশ্রমিক হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। তবে এই কাজটি একটি Part-time Job, স্থায়ী চাকরি নয়। যারা নিযুক্ত হবেন তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে একটি অ্যাপ ব্যাবহার করে প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে শুরু করে বাসিন্দাদের সকলপ্রকার তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এবারের জনগণনায় প্রথমবার Geospatial Technology ব্যবহৃত হবে, যা তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
যোগ্যতা ও কাজের ধরণ
এই প্রকল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত হবেন তাঁদের অন্তত উচ্চমাধ্যমিক পাস হতে হবে এবং মোবাইল ব্যবহার করতে সক্ষম হতে হবে। তবে এই কাজে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, পঞ্চায়েত কর্মী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে।
জনগণনা তিনটি প্রধান বিষয়ের উপর ভিত্তি করে হবে-
১. বাড়ির ব্যক্তিসংখ্যা, আবাস সংখ্যা ও বাসিন্দাদের সংখ্যা
২. বাড়ির অবস্থা, জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা
৩. জাতিগত তথ্য সংগ্রহ
কতগুলো ধাপে হবে?
প্রথম ধাপ (হাউস লিস্টিং অপারেশন): ১ এপ্রিল ২০২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত, যেখানে বাড়ির অবস্থার এবং বিশেষ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: ফেব্রুয়ারি ২০২৭-এ নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও জাতিগত তথ্য বিস্তারিতভাবে নথিভুক্ত করা হবে।
ফলাফল ঘোষণা: ১ মার্চ ২০২৭-এ দেশের মোট জনসংখ্যার পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে।
