আরও সহজ হল বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়া, অনলাইনে এভাবে করুন আবেদন

Birth Certificate Online Application Process

আরও সহজ হল বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়া, অনলাইনে এভাবে করুন আবেদন

Partha Sarathi Manna

Published on:

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ শিশুর জন্মের পর তার বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) বা জন্ম শংসাপত্র তৈরি করানো অত্যন্ত জরুরি। স্কুল ভর্তি, আধার কার্ড, ভোটার আইডি, পাসপোর্টসহ নানা সরকারি ও ব্যক্তিগত কাজে এটি অপরিহার্য। তাছাড়া ভারতের আইন অনুযায়ী, শিশুর জন্মের ২১ দিনের মধ্যে এই শংসাপত্র তৈরি করানো বাধ্যতামূলক। তবে শুধুই যে হাসপাতাল থেকে অফলাইনে বার্থ সার্টিফিকেট বানানো যায় তেমনটা কিন্তু নয়, চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন করা যায়। আজকের প্রতিবেদনে সেই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

অনলাইনে বার্থ সার্টিফিকেট আবেদন প্রক্রিয়া | Online Birth Certificate Application

প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব সরকারি ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লির জন্য নির্দিষ্ট পোর্টাল এবং উত্তরপ্রদেশের জন্য আলাদা লিঙ্ক রয়েছে।

  • সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জন্ম নিবন্ধন পোর্টালে যান।
  • নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে লগইন করুন।
  • শিশুর নাম, জন্ম তারিখ, হাসপাতালের নাম, পিতামাতার তথ্যসহ ফর্মটি পূরণ করুন।
  • প্রয়োজনীয় নথি যেমন হাসপাতালের জন্ম প্রমাণপত্র, পিতামাতার আধার ও বিবাহ শংসাপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন।
  • আবেদন জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করুন।
  • সাধারণত ৭-৮ দিনের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেট ইমেইল বা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়।

অফলাইনে জন্ম শংসাপত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া | Offline Birth Certificate Application

যদি অনলাইনে আবেদন না করা যায় বা ২১ দিনের বেশি সময় হয়ে যায়, তবে অফলাইনে আবেদন করতে হবে।

  • নিকটস্থ পৌরসভা, মিউনিসিপ্যালিটি বা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করুন।
  • ফর্মে শিশুর ও পিতামাতার তথ্য লিখে প্রয়োজনীয় নথির ফটোকপি সংযুক্ত করুন।
  • সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিন।
  • প্রায় ১ সপ্তাহের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনঃ ‘কিং কোহলি’ কত টাকার সম্পত্তির মালিক? জানলে হাঁফিয়ে যাবেন

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, জন্মের ২১ দিনের মধ্যেই জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হয়। তাহলে কোনো চার্জ লাগে না, তবে এর থেকে বেশি দেরি হলে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হতে পারে। আর জন্মের ১২ মাসের মধ্যে সংসাপত্রে নাম যুক্ত করে নেওয়া উচিত। নাহলে লেট ফি দিতে হয়। তাছাড়া যে কোনো সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য বিরত সার্টিফিকেট প্রয়োজন তাই এটা সময় থাকতেই করে নেওয়া ভালো।

সঙ্গে থাকুন ➥