শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পহেলগাঁওয়ের ঘটনা, সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে রেখে দিয়েছিল। পাকিস্তানের করা অন্যায়ের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে ভারত। ঝাঁপিয়ে পরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর এসেছিল, সে দেশেই ঘাঁটি গেড়ে বসে সন্ত্রাসীরা। হামলা চালায় ভারত। কিছু শতাংশ নির্মূল হয় সন্ত্রাস। এমন সময় ভারতের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ায় পাক। পাশে এসে দাঁড়ায় তুরস্ক। অন্যায়ের সাথ দেয়, বন্ধুত্বের দাবিতে। সেই শত্রুর বন্ধুর সঙ্গে কীভাবে ব্যবসা করছে ভারত (Trade With Turkey)!
অনেকে আগেই পাকিস্তানের এই বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী। হিমাচলের আপেল ব্যবসায়ী থেকে রাজস্থানের মার্বেল ব্যবসায়ী, তুরস্ক থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করার আহ্বানও জানায় অনেক ব্যবসায়ী সংগঠন। কিন্তু সেভাবে নিষিদ্ধ হয়নি আমদানি। ভারত থেকে তুরস্কে পর্যটক সংখ্যা কিছু শতাংশ কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এখনও তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য করছে দিল্লি। কিন্তু কেন?
কেন ব্যবসায় পাক বন্ধু তুরস্ক বিমুখ নয় ভারত?
সূত্রের খবর, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সব মিলিয়ে ৫.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে এ দেশ। প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের কাছকাছি শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পণ্যই রফতানি করেছিল। সোনা, ফল ও বাদামের মতো পণ্য আমদানি করেছিল ২.৯৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে, ভারতের সঙ্গে সে দেশের প্রায় ২.৭৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্মার্ট মিটারের ভবিষ্যৎ কী? বিধানসভায় খোলসা করলেন মন্ত্রী
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষে এটা আবার খুব ভালো বিষয়। এক কথায় বলতে গেলে, তুরস্কের সঙ্গে ব্যবসা হাঁকিয়ে লাভবান হয়েছে ভারত। তাই স্বাভাবিকভাবেই শত্রুর বন্ধুই সই, ব্যবসা বন্ধ নয়!