শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয়ের মৃত্যুর পর, দেশজুড়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি খুবই কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে (Indian Powerful Missiles)। আসুন জেনে নিই ভারতের ৫টি সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র অর্থাৎ মিসাইল সম্পর্কে, যা প্রতিরক্ষা খাতে অগ্রগতির প্রতীক হয়ে দাঁড়াতে পারে। এগুলো শত্রুর রাডার এড়িয়ে চলতেও সক্ষম।
ব্রহ্মোস হল আধুনিক যুগের ব্রহ্মাস্ত্র
ব্রহ্মোস একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি শব্দের গতির চেয়ে তিনগুণ বেশি গতিতে চলে। এটি স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এর পাল্লা ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি এবং এটি ১ মিটারের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি রাডার এড়িয়ে যেতেও সক্ষম।
নাগ মিসাইল শত্রুর ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে
নাগ ক্ষেপণাস্ত্রকে শত্রু ট্যাঙ্কের মৃত্যু বলা হয়। এটি একটি অগ্নিনির্বাপক এবং ভুলে যাওয়া ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল। একবার উৎক্ষেপণ করা হলে, এটি অটোমেটিক লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করে এবং ধ্বংস করে। নাগ ক্ষেপণাস্ত্রটি থার্মাল ইমেজিং সিকার ব্যবহার করে।
দূরে বসে থাকা শত্রুদের পুড়িয়ে মারে অগ্নি-৫
অগ্নি-৫ হল ভারতের উন্নত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটির ৮,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসীমা, প্রায় সমগ্র এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকা জুড়ে। এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এটি একসাথে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
অস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুকে আটকে ফেলে এবং আঘাত করে
অস্ত্র হল ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ১০০ কিমি। এটি একটি উন্নত রাডার হোমিং সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত, যা লক্ষ্যবস্তুকে লক করে ধ্বংস করে। এটি তেজস, সুখোই-৩০ এবং মিরাজের মতো যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: নাম উঠেছে গিনেস বুকেও, বিশ্বের সেরা এই প্ল্যাটফর্ম রয়েছে ভারতেই! যাবেন?
শৌর্য ক্ষেপণাস্ত্র
এটি একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ৭০০ থেকে ৮০০ কিলোমিটার। এটি পারমাণবিক আক্রমণও চালাতে পারে। এর গতি শব্দের চেয়ে সাড়ে সাত গুণ বেশি। কম উচ্চতায় উড়ে এটি শত্রুর রাডারকে এড়িয়ে চলতে পারে।