পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ইতিমধ্যেই রাজ্যে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে, আর এই সময় একপ্রকার দলবেঁধে ফ্যামিলি নিয়ে ছুটি কাটতে উত্তরবঙ্গ যান লক্ষ লক্ষ মানুষ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সস্তা ও আরামদায়ক মাধ্যম হল ট্রেন। উত্তরবঙ্গে যাওয়ার জন্য হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে একাধিক ট্রেন ও রুট রয়েছে। কিন্তু এখনও সমস্ত রুটে ইলেকট্রিফিকেশন হয়নি। এবার সেই নিয়েই এল বড় আপডেট।
উত্তরবঙ্গ রুটে ইলেক্টিফিকেশন নিয়ে বড় আপডেট
বর্তমানে এক্সপ্রেস ট্রেন দুভাবে চালানো হয়। প্রথাগতভাবে ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে ট্রেন চালানো হয় যার ফলে একদিকে পরিবেশ দূষণ হয় তেমনি গতি কিছুটা হলেও কম হয়। অন্যদিকে যদি ইলেকট্রিক লাইন থাকে তাহলে দূষণের পরিমাণ যেমন শূন্যের কাছে আসে তেমনি, ট্রেনের গতিও বাড়ানো সম্ভব হয়। সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু রুটের ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ চলছিল।
সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের ৫টি রুটের ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার কিছু পরীক্ষা নিরিখে হয়ে গেলেই ইলেকট্রিক ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো শুরু হয়ে যাবে। ফলে গতি ও নিরাপত্তা দুটোই বাড়বে বলে আশা রেলের। কিন্তু এবার প্রশ্ন হল কোন কোন রুটে চলবে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন?
উত্তরবঙ্গের এই ৫ রুটে ছুটবে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন
যেমনটা জানা যাচ্ছে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের ২২টি সেকশনে কাছ চলছিল, যার মধ্যে ৫টির কাজ শেষ হয়েছে। যে পাঁচটি রুটে ইলেক্টিফিকেশনের কাজ শেষ হয়েছে সেগুলি হল, নিউ কোচবিহার থেকে বক্সিরহাট, নিউ কোচবিহার থেকে বামনহাট, বক্সিরহাট থেকে ধুবড়ি, ফকিরগ্রাম থেকে গোলকগঞ্জ ও নিউ মাল জংশন থেকে ময়নাগুড়ি রোড।
২২টি রুট মিলিয়ে মোট ২০০ কিমি লাইনে ইলেকট্রিফিকেশন করা হয়েছে। যার মধ্যে মোট ১ ১ এর মধ্যে নিউ কোচবিহারে-বক্সিরহাট রুটে ৩০.২৬ কিমি, বক্সিরহাট-ধুবড়ি লাইনে ৪৮.২৩ কিমি, নিউ মাল জংশন-ময়নাগুড়ি রোড রুটে ৪১ কিমি, নিউ কোচবিহার-বামনহাট লাইনে ৪৯.৮১ কিমি ও ফকিরগঞ্জ-গোলকগঞ্জ রুটে ৪৫.০৫ কিমি রুট সামিল রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে সার্জিকাল স্ট্রাইক, অপারেশন সিঁদুরে ছারখার পাকিস্তনের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি
এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ৫টি রুটের ইলেকট্রিফিকেশন শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চালানপ হবে ফলে ট্রেনের গতি আরও বাড়বে। তবে এখনও কাজ বাকি রয়েছে আরও রুটে ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ চলছে। শীঘ্রই সেগুলির কাজ মেটানো হবে তাহলে ট্রেনের যাত্রা আরও মসৃণ ও নিরাপদ হবে।